অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা, ২০১৫’ এর দু’টি ধারা স্থগিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আদেশ জারি করা হয়েছে। কবে নাগাদ আবার বদলির ক্ষমতা ফিরে পাবে তা নিশ্চিত নয়।
বদলিতে মন্ত্রণালয়ের কতিপয়তন্ত্র, টাকা লেনদেন ইত্যাদি অভিযোগের বিষয়ে দৈনিকশিক্ষাডটকমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাকে জানান, “গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভাশেষে অনির্ধারিত আলোচনায় শিক্ষক বদলিতে অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। মন্ত্রণালয়ের কতিপয় ব্যক্তির সমালোচনা করা হয়।”
“আদিষ্ট হয়ে মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে। এটা না করে উপায় ছিল না। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের জন্য এটা কোনো ভালো খবর না,” যোগ করেন চৌকস ওই কর্মকর্তা।
সাধারণভাবে প্রতিবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে একই উপজেলা বা থানা, আন্ত–উপজেলা বা থানা, আন্তজেলা, আন্তসিটি ও আন্তবিভাগে বদলির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু স্থগিত করা একটি ধারায় (১.২) বলা ছিল, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে বদলি সম্পন্ন করা না গেলে মন্ত্রণালয় যেকোনো সময়ে বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। এ ছাড়া স্থগিত করা আরেকটি ধারা (২.৮) অনুযায়ী মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে যেকোনো কারণে যেকোনো শিক্ষককে যেকোনো সময়ে বদলি করতে পারত।
আজ জারি করা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে আরও বলা হয়, নির্দেশিকায় থাকা অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে একই উপজেলা বা থানা, আন্তবিদ্যালয়, আন্ত–উপজেলা বা থানা, আন্তজেলা, আন্তসিটি ও আন্তবিভাগ বদলি অধিক্ষেত্র অনুযায়ী করতে হবে। বদলির ফলোআপ আদেশ জারির সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। বদলির কাজে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে অধিক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।