প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি ব্যয় বাড়ছে ৩৮৫৬ কোটি টাকা - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি ব্যয় বাড়ছে ৩৮৫৬ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ছে ৩ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, যা মূল বরাদ্দের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সেই সঙ্গে আড়াই বছর বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদও। ফলে নতুন করে ১০ লাখসহ মোট ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প-তৃতীয় পর্যায় প্রথম’ শীর্ষক প্রকল্পটির সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এরই মধ্যে প্রক্রিয়াকরণ শেষ করে প্রস্তাবটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপবৃত্তি সম্প্রসারণ করা হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি,ঝরে পড়া হ্রাস, প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমাপ্তিতে উন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়,প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মেয়াদ ধরা হয় ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। এরই মধ্যে এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর মূল ব্যয় থেকে ৩ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ছে ১২৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।

পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা  জানান, প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী বিবেচনার জন্য ২২ মে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বেশ কিছু সুপারিশ দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেগুলো প্রতিপালন সাপেক্ষে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প এবং শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচিকে একীভূত করে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে উপস্থিতি উৎসাহিত করতে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান-তৃতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করে।

প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন লাভ করে। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা ছাড়া দেশের ৪৮৬টি উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে (প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলনকৃত ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণীসহ) এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। পরে প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং প্রকল্প এলাকা সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় বিস্তৃত করা এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ বাড়িয়ে মোট ১ কোটি ৪০ লাখে উন্নীত করার জন্য প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সূত্র জানায়, চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সব শিক্ষার ভিত্তি। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা গেলে পরবর্তী ধাপগুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ হয়। এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শতভাগ উপবৃত্তি প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম সংশোধনীর জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ দেশের সব উপজেলা-থানায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হবে। তাই এ প্রকল্পটি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থবছরভিত্তিক বরাদ্দ চাহিদা হচ্ছে- ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৮৮ কোটি ৯৭ লাখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ৯৯ লাখ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0066859722137451