চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতের ১৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার উপজেলার ১৮৩ জন শিক্ষক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের ডিপিইও মো. আক্তার হোসেন বলেন, তিনি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করবেন এবং এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ কবির হোসেন শিক্ষা কার্যালয়ের বিভিন্ন আর্থিক খাত থেকে গত এক বছরে টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি গত এপ্রিল-মে মাসে নতুন বেতন স্কেলে শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ এবং বকেয়া বিল করার কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করেন। ২০১৩-১৪
অর্থবছরে তিনি ১১৪ শিক্ষকের টাইম স্কেলের বকেয়া বিল করার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি করে টাকা নেন। এভাবে ওই অর্থবছরে তিনি চার লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব না দিয়ে এ খাতে বরাদ্দ পাওয়া ৭৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা।
গত বছর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র ও বৃহত্তর মেরামতের কাজে বরাদ্দ করা টাকার ১০ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এভাবে তিনি এসব খাত থেকে সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন সহকারী শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষা কর্মকর্তা অবসর ভাতা (পেনশন) অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অবসরপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেন।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষা কার্যালয়ে গেলে যেকোনো কাজেই ওই কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া কোনো কাগজপত্রেই তিনি সই করেন না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ করার ও অন্যান্য অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে তাঁর কিছু ভুল হতে পারে।