পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্ন ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে এবার ৬৫ শতাংশ করা হয়েছে; যদিও গত তিন বছরের মতো পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টাই থাকছে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. ফজলুর রহমান সোমবার দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এই তথ্য নিশিচত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক সমাপনীর এ বছরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালায় চূড়ান্ত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ২০১৬ সালের পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে যোগ্যতাভিত্তিক ৬৫ শতাংশ এবং ট্রাডিশনাল ৩৫ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে।
প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১৮ সালে শতভাগ প্রশ্নই যোগ্যতাভিত্তিক (সৃজনশীল) করার চিন্তা রয়েছে জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের পরীক্ষা মূল্যায়ন করে পরের বছর কত শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন রাখা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বছর ৫০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৫ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ৫০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা হয়।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় ২০১৩ সালে এই পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
১৫ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন বাড়লেও ২০১৬ সালের পরীক্ষায়ও আড়াই ঘণ্টার হবে বলে জানান নেপ মহাপরিচালক।
২০১৫ সালের এইচএসসিতে ২৫টি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে। চলতি এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হচ্ছে।
অন্যদিকে জেএসসিতে গত বছর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।