ফাঁস হওয়া প্রশ্ন থেকে এসএসসি পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে বহিষ্কারের পর এক পরীক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাভার উপজেলার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আগে থেকে লিখে আনা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দেখে লেখার সময় জান্নাতুল ফেরদৌস নামের ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর ওই পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের দোতলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। প্রথমে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গমেজ জানান, বিজ্ঞান শাখার পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে কেন্দ্রের ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন পরীক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসকে বহিষ্কার করেন।
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী জানায়, কুষ্টিয়ায় তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে এই উত্তরপত্র সংগ্রহ করেছে সে। এটি বলে সে হঠাৎ করেই কেন্দ্রের দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। পরে আহত অবস্থায় তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। ওখানেই সে এখন চিকিৎসাধীন। তার কোমর ও বাঁ পায়ে আঘাত লেগেছে।
এ বিষয়ে মেজবা উদ্দীন বলেন, ‘আমি প্রথমে মেয়েটিকে নকল করতে দেখি। দেখে অন্য শিক্ষকদেরও ডাকি। দেখা যায়, তার হাতে লেখা উত্তরপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তরের হুবহু মিল রয়েছে। মিল পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ওই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়।’