ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে বের করে দিলেন শিক্ষক - Dainikshiksha

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে বের করে দিলেন শিক্ষক

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি  |

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পরীক্ষার ফি ও মাসিক বেতন না দেওয়ায় এক ছাত্রকে পরীক্ষা চলাকালীন হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশুরতা নওটিকা গ্রামের দিলীপ চন্দ্র সরকার এর পুত্র তন্ময় কুমার সরকার পাঠান পাড়া কে.জি স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। গত ৬ আগস্ট থেকে স্কুলের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন (৭ আগস্ট) তন্ময় পরীক্ষা দিতে আসলে স্কুলের সহকারি শিক্ষক ঈসমাইল হোসেন তাকে পরীক্ষার ফি ও মাসিক বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় পরীক্ষার খাতা কেড়ে নিয়ে তাকে স্কুলের যাবতীয় পাওনা পরিশোধের জন্য বার্ড়িতে পাঠিয়ে দেন।

পরে তন্ময়ের বাবা দিলীপ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলে এসে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করলে তার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়। পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক ঈসমাইল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুলের তথ্যমতে তন্ময়ের কাছ থেকে গত ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের বেতনসহ চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪০৪৮ টাকা পাওনা রয়েছে। স্কুল পরিচালক মোখলেছুর রহমানের নির্দেশে পরীক্ষার খাতা কেড়ে নিয়ে তন্ময় কুমার সরকারকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

তন্ময়ের বাবা দীলিপ কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষার ফি ও মাসিক বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য আমার ছেলেকে ওই স্কুলের অন্য শিক্ষার্থী দিয়ে শারীরিক এবং শিক্ষকরা মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্কুল পরিচালকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে পরিচালক মোখলেছুর উল্টো আমাকে ধমক দেয় এবং আমার ছেলেকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার জন্য ওই শিক্ষককে ধন্যবাদ জানায়।

স্কুল পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, একটি মহল প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্রের নিকট স্কুলের পাওনা পরিশোধের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে নির্যাতন করা হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার বলেন, স্কুল ছাত্রের অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে দুই পক্ষকে একত্রিত  করে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে স্কুল শিক্ষক ও পরিচালক কর্তৃক এধরণের অমানবিক ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033950805664062