ফুটবল খেলার অপরাধে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বিদ্যালয়ের সভাপতি শওকত হোসেন মৃধা ১৮ ছাত্রকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বরমী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে রবিবার নির্যাতিত এক ছাত্রের পিতা সামসুল হুদা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে ১০ম ও ৮ম শ্রেণির ছাত্ররা স্কুল মাঠে তৃতীয় ঘন্টার পর বেলা বারটার দিকে ফুটবল খেলার প্রস্তুতি নিলে স্কুল কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন মৃধা স্কুল মাঠে এসে ছাত্রদের খেলতে দেখে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে শুরু করেন।
ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে খেলছে বললে উত্তেজিত হয়ে সভাপতি বলেন, ‘হেডমাস্টার কে আমি যা বলব তাই হবে’। এরপর তিনি দপ্তরিকে দিয়ে স্কুলে থেকে বেত এনে ছাত্রদের পর্যায়ক্রমে লাঠিপেটা করেন। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে মারার কারণ জানতে চান। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এ সময় প্রধান শিক্ষক হুংকার দিয়ে বলেন, ‘যা করার তা করেছে এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ির দরকার নাই, বললে জঙ্গি সাজিয়ে অথবা বড়ি (ইয়াবা) দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হবে, আমার হাত অনেক লম্বা।’
স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষক মেহেদী মাসুদ বলেন, প্রধান শিক্ষকের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ছাত্ররা ফুটবল খেলতে গিয়েছিল। তবে প্রধান শিক্ষক মবিনুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা অনুমতি ছাড়াই ক্লাস চলাকালীন সময় মাঠে খেলতে যাওয়ায় সভাপতি ছাত্রদের পিটিয়েছেন, এটা উনি ঠিক করেন নাই। আসলে এটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে রমজানের পর স্কুল খুললে ইউএনও’র মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্কুল কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন মৃধা বলেন, ছাত্ররা শৃংখলা ভঙ্গ করে বল খেলছিল। তিনি পাঁচ-ছয় ছাত্রকে একটি করে বেত্রাঘাত দিয়েছেন। উচ্ছৃঙ্খল ছাত্ররা স্কুলে ভাংচুর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে।