টাঙ্গাইলের এক হাইস্কুলের সহকারি গ্রন্থাগারিককে জানুয়ারি মাসের বেতনের নামে অবৈধভাবে দেয়া সাড়ে তিন কোটি টাকা অবশেষে ফেরত আনা হচ্ছে।
গত দুদিন যাবত সারাদেশে শিক্ষকদের মধ্যে আলোচিত খবর ছিল এটি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিকশিক্ষাডটকমে এই ভয়াবহ দুর্নীতির খবর প্রকাশ হলে শিক্ষা আধিদপ্তরের কর্তাদের টনক নড়ে। দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বা অন্য কোন কোন শিক্ষককে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন তা উদঘাটনের উদ্যোগ না নিয়ে শুধু ভুল হয়েছে স্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার তারা ওই সাড়ে তিন কোটি টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নেন।
জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষককে বলে দেওয়া হয়েছে বাড়তি টাকা যাতে সহকারি গ্রন্থাগারিক তুলতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। অতিরিক্ত টাকা মাউশিকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।
তবে, অপরাপর ৬ জনকে কোটি কোটি টাকা দেওয়ার তথ্য উদঘাটনে দৈনিকশিক্ষার অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। নিশ্চিত হওয়ামাত্রই প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার মাটিকাটা এম এল হাইস্কুলের সহকারি গ্রন্থাগারিক সালমা খাতুনের প্রকৃত বেতন ৮ হাজার টাকা হলেও তার জন্য জানুয়ারি মাসের বেতন বাবদ ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
মাউশির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ব্যাংক ক্যাশিয়ার ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত এহেন দুর্ণীতি করে আসছে। ইএমআইএস সেলের দূর্বলতার সুযোগে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে প্রতিমাসে কিন্তু দেখার কেউ নেই।
গত ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ২৭৩ জন এমপিও জালিয়াতি তথ্য উদঘাটন করে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র অনলাইন জাতীয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষাডটকমের সাংবাদিকরা। সেইবারেও প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ওই ২৭৩ জনের এমপিও স্থগিত করতে বাধ্য হয় মাউশি অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন
এক শিক্ষকের বেতন সাড়ে তিন কোটি টাকা!