মিশরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবেই শুধু ফেসবুক নয় এটি নানা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। আর এ কারণে মিশর চাইছে নানা উপায়ে ফেসবুক ও এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের লাগাম টেনে ধরতে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির নীতিনির্ধারণী সংস্থা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
মিশরের সংসদীয় কমিটি সম্প্রতি সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া নতুন আইন পাশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ব্যবহারকারী তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে ফেসবুক চালু করতে পারবে। আর সেই জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের ওপর একটি ফি দিতে হবে।
এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য দাবি করে মিশর। সে সময় তথ্য দিতে অপারগ হওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয় ফেসবুকের ফ্রি বেসিক ইন্টারনেট সার্ভিস। কিন্তু কি কারণে মিশর সরকার সেবাটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনে তা সুস্পষ্ট ছিলনা। কেননা ফেসবুক এবং দেশটির সরকার উভয়ই মুখ বন্ধ রেখেছিল।
এ মুহূর্তের প্রতিবেদনগুলোতে তাদের বিবৃতি তুলে ধরে বলা হচ্ছে, সোশ্যাল জায়ান্ট ফ্রি বেসিক ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহারকারীদের উপর মিশর সরকারকে নজরদারির ক্ষমতা দিতে রাজি না হওয়ায় দেশটিতে সেবাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।