কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণে দুর্নীতি, দায়সারাভাবে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামানকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য ও প্রমাণাদিসহ জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত ওই চিঠি গতকাল বুধবার ওই শিক্ষকের কাছে পৌঁছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষক সমিতি জরুরি বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে শিক্ষক সমিতির একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে দুর্নীতি ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মো. আসাদুজ্জামান। এতে ভাস্কর্য নির্মাণের নানা অসংগতি ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন ওই শিক্ষক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গতকাল বুধবার ওই চিঠি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ। তাঁরা এর তীব্র নিন্দা জানান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে শুরু থেকেই অনিয়ম হচ্ছিল। ভাস্কর্যের উচ্চতা ১৫ ফুট হওয়ার কথা থাকলেও করা হয় ১১ ফুট। পাথর দিয়ে ওই ভাস্কর্য নির্মাণের কথা থাকলেও ভেতরে মাটি ঢোকানো হয়। গুটিকয় দুর্বৃত্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অসাধু চক্র ওই খাত থেকে টাকা মারার জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যেনতেনভাবে তৈরি করছিল। অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে, কারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি করেছে। ফেসবুকে এসব কথাই লেখা হয়েছে। চিঠি পেয়েছি, চিঠির জবাব দেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তথ্যপ্রমাণসহ জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘একের পর এক শিক্ষক সমিতির নেতা ও শিক্ষকদের নানা ছুতায় হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। শিক্ষক সমিতি সভা করে এ বিষয়ে বিস্তারিত পদক্ষেপ নেবে।’