খুলনার ডুমুরিয়ায় কলেজের একাডেমিক ভবনে আপত্তিকর কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় বখাটের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছে কলেজ ছাত্রী ও তার পিতা। অশীøল ভাষায় গালিগালাজ করেছে কলেজের একাধিক শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে। ওই বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ই আগস্ট) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একাডেমিক ভবনের ৩ তলার চিলে কোটায় ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র চাকুন্দিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদ গাজীর পুত্র এনামুল হক সুজন একটি মেয়ের সাথে আপত্তিকর কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এ সময় দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে এনামুল বলে আমরা দুজন দুজনকে ভালবাসি। তখন তারা বলে কলেজের মধ্যে এসব করলে কলেজের পরিবেশ নষ্ঠ হবে। এ নিয়ে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে এনামুল এক ছাত্রীকে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক হাফিজ মাহমুদ। তিনি এনামুলের এই কর্মকা-ের প্রতিবাদ করলে তার সাথেও চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং কলেজের অধ্যক্ষের নাম ধরেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে একাধিক শিক্ষক জানান।
পরে সে আরও ৩/৪ জন বখাটে ছেলেকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদকারী ছাত্রীর পিতার কর্মস্থল আরশনগর শাহ আফজাল দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে ডেকে এনে তাকেও মারপিঠ করেছে বলে জানা গেছে।
বিকেল ৫টায় এনামুলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছেন মাগুরঘোনা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই নাহিদ হাসান মৃধা।
এব্যাপারে চুকনগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে একাডেমিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।
ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আব্দুল খালেক এ জানান, ছাত্রীকে মারপিঠ করার ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে এনামুল ইসলাম নামের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
গ্রেপ্তারকৃত এনামুল চুকনগর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি বলে জানা গেছে।