জাতীয় চার নেতার অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মভূমি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বঙ্গতাজ ডিগ্রি কলেজে ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অধ্যক্ষ মো. আওলাদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক শেখ আবু আশেক এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. এনায়েত হোসেন এবং ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মফিজ উদ্দিন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেই ক্ষমতালোভী খুনিচক্র ক্ষান্ত হয়নি।
৩ মাসের মধ্যেই সেই বিপদগামী ক্ষমতালোভী সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য রাজনৈতিক শক্তিকে নিঃশেষ করার হীন চক্রান্ত হিসেবে ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। দেশের জন্য জাতীয় এই চার নেতার আতœত্যাগকে বিশেষ করে যার নামে এই কলেজ বঙ্গতাজ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ এর আতœত্যাগ ও অবদানকে আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
শেষে-বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আতœার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবু শোয়েব গোলাম মহিউদ্দিন।
এ আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক মন্ডলী এবং এলাকার অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য-১৯৭২ সালে কাপাসিয়ার পূর্বপ্রান্ত খিরাটীতে এলাকাবাসী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এর প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে তার নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করলে তৎকালীন সময়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রী থাকাকালে কলেজটির মঞ্জুরী প্রাপ্তির ব্যবস্থাসহ অবকাঠামো নির্মাণের ব্যবস্থা করে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করেন।