কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসায় একটি ছাত্রীনিবাসের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের নামে। তিনতলার এই ছাত্রীনিবাসে ঠাঁই হলো দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর।
২১ আগস্ট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. জাফর উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাদ্রাসার শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির এক সভায় বঙ্গমাতার নামে ছাত্রীনিবাসের নামকরণ করা হয়। এর আগে ছাত্রীদের মধ্যে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আ জ ম মোবারক উল্লাহ, কমিটির সদস্য আবুল কাসেম সিকদার, মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
সভায় ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
কমিটির সহসভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, জেলার নারী শিক্ষার অন্যতম ধর্মীয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৫ জন। স্নাতকোত্তর সমমানের (কামিল) এই প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শাখার পাশাপাশি বিজ্ঞান শাখাও চালু আছে।
ফলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসক ও প্রকৌশলী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সেলাই, কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে মেয়েদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে। বরাবরের মতো এবারও আলিম পরীক্ষায় এই মাদ্রাসা জেলার শীর্ষ স্থান দখল করে। মাদ্রাসার মেয়েরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত হচ্ছে।
মাদ্রাসার ছাত্রী কামরুন নাহার বলেন, ‘১৮ আগস্ট মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা (মাদ্রাসা ছাত্রীরা) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের অধ্যক্ষ মহোদয়ও শেখ হাসিনার সঙ্গে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। এতে আমরা উচ্ছ্বসিত। আমরাও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করি।’
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাফর উল্লাহ নুরী বলেন, ‘শিক্ষার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহ ও মূল্যায়ন দেখে আমরা অভিভূত।’
মাদ্রাসা সূত্র জানায়, বর্তমানে এই মাদ্রাসায় শিক্ষক রয়েছেন ৫৬ জন। বঙ্গমাতা ছাত্রীনিবাসের পাশাপাশি আরেকটি নিবাসে ‘আসমা বিনতে আবু বক্কর (রা.) ছাত্রীনিবাসে থাকে ৩৫৪ জন। পৃথক দুটি এতিমখানায় আছে ৫৬০ জন।