বছরে ৯ মাস পানিবন্দী তিন বিদ্যালয়, সীমাহীন দুর্ভোগ - Dainikshiksha

বছরে ৯ মাস পানিবন্দী তিন বিদ্যালয়, সীমাহীন দুর্ভোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি |

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা। পিঠে বইয়ের ব্যাগ হাতে স্যান্ডেল। হাঁটুর উপর পর্যন্ত গোটানো পায়জামা। স্কুলে যাবে তাই এ প্রস্তুতি। বিদ্যালয় চত্বর পানিতে ডুবে থাকায় স্কুলে যাতায়াতে এই ব্যবস্থা। এ দৃশ্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হোসেনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহ আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বছরের প্রায় ৯ মাস এ তিন বিদ্যালয়ের মাঠসহ আশেপাশের এলাকা হাঁটু পানিতে ডুবে থাকে। পচা পানি মাড়িয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এক যুগ ধরে এ অবস্থা চলে আসছে।

পানি নিষ্কাশন করে লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরানোর দাবিতে গত রবিবার তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। স্কুলের সামনে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কে মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল অংশ নেন। হোসেনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলের খেলার মাঠ ব্যবহার করা যায় না। শ্রেণিকক্ষের বাইরে তারা বের হতে পারে না। প্রতিদিন পচা পানি দিয়ে যাতায়াতের ফলে শরীরে ঘা-পাঁচড়া দেখা দিয়েছে। হোসেনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাছিম বিল্লাহ জানান, প্রায় এক যুগ ধরে স্কুলগুলোর এ সমস্যা থাকলেও দুর্ভোগ লাঘবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তিনি এ সমস্যার সমাধান করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। হোসেনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করীম জানান, একটি ড্রেন তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে এ সমস্যা সমাধান করা যায়।

কিন্তু ড্রেন তৈরিতে যে পরিমাণ অর্থ লাগবে তা স্কুল কর্তৃপক্ষের নাই। দৌলতপুরের ইএনও তৌফিকুর রহমান বলেন, এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। সমাধান করতে একটি ড্রেন তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কাজ শুরু হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037589073181152