বদলির আদেশ জারি হয়েছে গতকাল ২২শে মে। আর ২৩মে সেই বদলির আদেশ বাতিল করে নিজেদের পছন্দের উপজেলায় পদায়ন পেতে মরিয়া দুই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষা ভবনে এসেছেন।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সালামগীর আলমকে মানিকগঞ্জ সদরে বদলির করা হয়েছে। ভৈরবে প্রায় পাঁচ বছর রয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পছন্দ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাও অথবা আড়াইহাজার অথবা গাজীপুর সদর অথবা সাভার । বদলির আদেশ স্থগিত করার আবেদন নিয়ে তিনি আজ ২৩শে মে সারাদিন শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে কাটিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের ১৯ তলার একজন কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলেন। ওই কর্মকর্তা সালামগীরকে বলেছেন, ‘একমুখে দুই কথা বলি কিভাবে।’
সালামগীরকে শিক্ষা ভবনের দুইজন বদলির দালালদের সঙ্গে দেখা গেছে কিছুক্ষণ। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মহাপরিচালকের কক্ষেও ঢুকেছেন তিনি।
সালামগীর অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার কাছে বলেছেন, সাভারের কর্মকর্তা শাহরিয়ার মেনজিসকে বদলি করা হয়েছে ভৈরবে। একমাস আগে মেনজিসকে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আরেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সমিতির নেতা সাইফুলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে। মেনজিস ও সাইফুল ধানমণ্ডিতে কোটি টাকার ফ্ল্যাটে থাকেন। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য না দেয়ায় মেনজিসের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে তথ্য কমিশন। বদলি ঠেকাতে মেনজিস একজন হুইপের অফিসে ঘোরাঘুরি করছেন। সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান সাংসদকে দিয়ে মহাপরিচালককে টেলিফোন করাতে চান মেনজিস। তাছাড়া মেনজিসের পরিবারে একাধিক সদস্য অসুস্থ এই অজুহাত দেখিয়ে মেনজিস কেরানীগঞ্জে আসতে চান।
সালামগীর জানান, গত সপ্তাহে সাভারে গিয়েছিলেন দুদকের কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তাকে ডাবের পানি খাওয়াতে চাওয়ায় মেনজিসকে জানতে চান, ডাব কেনার টাকা কোন খাত থেকে নেয়া হয়েছে?
এছাড়াও আট বছর যাবত একই কর্মস্থলে কর্মরত [ছবিতে গালে হাত দেয়া] একজনকে দেখা গেছে বদলির হওয়ার তদবির করতে।