দেবিদ্বারে অবৈধ কোচিংয়ের দৌরাত্মা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাড়া- মহল্লার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য। কোচিং বাণিজ্য, অবৈধ গাইড, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও শর্ট সাজেসন্সের কবলে পড়ে মেধা শূন্য হয়ে বেড়ে উঠছে শিক্ষার্থীরা। কোচিং বাণিজ্যের কবলে পড়ে দিশেহারা সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এতে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি গুনতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা। শুধু তাই নয়, যেখানে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়ানোর সুযোগ রয়েছে, সেখানে কোনো কোনো শিক্ষক এক ব্যাচেই ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থীকে পড়াচ্ছেন। কোনো খ্যাতিমান শিক্ষক স্কুলের মতো করেই কোচিং-এ ক্লাস ও পরীক্ষা নিচ্ছেন।
এদিকে, গাইড বইয়ের ভিড়ে হারাতে বসেছে মূল বই। স্কুল-কলেজের পাঠ্য বইয়ে আগ্রহ কমে গেছে শিক্ষার্থীদের। তারা চাপিয়ে দেওয়া অবৈধ নোট ও গাইড বই মুখস্থ করতেই ব্যস্ত। এ নিয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। নেই কোনো পদক্ষেপ।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক শিক্ষক কোচিং ও প্রাইভেট টিউশনির সঙ্গে অতিমাত্রায় জড়িয়ে পড়ায় ভালোভাবে ক্লাস নেন না। শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে প্রলুব্ধ করেন। যারা কোচিং, প্রাইভেট পড়ে পরীক্ষায় তাদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও কোনো কোনো কোচিং সেন্টার জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা বলেন, কোচিং এর বিষয়গুলো আমাদের নলেজে আছে। জেলা অফিস থেকে নির্দেশনা এসেছে আমরা মনিটরিং করব, কোচিং বাণিজ্যে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।