বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম ইমামুল হকের অপসারণের দাবি ও কটূক্তির প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারী ও সাধারণ ছাত্রদের মানববন্ধনে বাধা দিয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওই কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের কর্মীরা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং গালাগালি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ কাইউম বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে অসংগতি থাকলে সেটা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলা যেত। সেটা নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, এটাও ঠিক আছে। কিন্তু শহরে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপাচার্যকে স্বাধীনতাবিরোধী বলা, কটূক্তি করা যৌক্তিক নয়। এ কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি খোলা চিঠি তৈরি করেছিলাম। গতকাল বেলা একটায় শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন শুরু করেন। সোয়া একটার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে আসে। তারা শিক্ষকদের গালাগাল দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা শিক্ষকদের হাতে থাকা ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।’
ছাত্রলীগের কর্মী ফিরোজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ ভাগ সংরক্ষিত আসন না রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিচ্ছেন উপাচার্য। তিনি আর্থিক সুবিধা পেয়ে ওই অনিয়ম করছেন। এর প্রতিবাদ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাঁরা গালাগালি বা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উপাচার্য এস এম ইমামুল হক বলেন, ‘অসত্য কাহিনি বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সেখানে আমাকে স্বাধীনতাবিরোধী বলা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নীরব প্রতিবাদে ছাত্ররা বাধা দেবে, গালাগাল দেবে, এটা সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা।’