সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদা ঘাট ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে একই উপজেলার জয়নাল আবেদীন কলেজের পক্ষ থেকে একটি রীট পিটিশন করায় গতকাল ১৬ ই সেপ্টেম্বর তাহিরপুরের বাদাঘাট বাজারে হাজার হাজার জনতা রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে এলাকার বিশিষ্ট মুরিব্বিয়ানরা, শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও কৃষক, শ্রমিক দলমত নির্বিশেষে স্বতস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহন করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতিপ্রাপ্ত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ডিগ্রি কলেজের সকল আানুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর বর্তমান সরকারের শিক্ষাসচিব বরাবর কলেজের সকল স্থাবর- অস্থাবর সম্পওি রেজিস্ট্রি করে হস্তান্তর করা হয়। এখন জিও জারি হবে সেই মূহুর্তে জয়নাল আবেদিন কলেজ কর্তৃক গত আগষ্ট মাসের ৮ তারিখ মহামান্য হাইকোর্টে অত্র কলেজের বিরুদ্ধে একটা রিট পিটিশন দাখিল করে এতে এলাকার সর্বস্তরের লোকজন এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে এতে সভাপতিত্ব করেন বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ জুনাব আলী। আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, সুজাত মিয়া, নূরুল হক মাস্টার, নজরুল শাহ্ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ। বক্তারা বলেন বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য জয়নাল আবেদীন কলেজের কতিপয় দুষ্কৃতিকারী শিক্ষক ষরযন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। রীটকারী ব্যাক্তিরা কখনও সরকারের সফলতা আশা করেন না।
বাদাঘাট ডিগ্রি কলেজ টি ভাটি এলাকার প্রান্তিক খেটে খাওয়ার মানুষের আশা ভরসার স্থল একমাত্র উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । জাতীয়করনের নীতিমালার সকল ক্রাইটেরিয়ায় পড়ে বিধায় বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর ডিও লেটারের ভিত্তিতে ভাটি বাংলার শিক্ষার উন্নয়নে অত্র কলেজটিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
কলেজটি যখন জাতীয়করণের চুড়ান্ত পর্যায়ে ঠিক সেই মুহুর্তে জয়নাল আবেদীন কলেজের শিক্ষক রা রীট করে বাধা সৃষ্টি করছে। বক্তারা অবিলম্বে এটা প্রত্যাহারের দাবি জানান।