একজন শিক্ষার্থী জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেল কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ পেল—এক্ষেত্রে বোঝা যাবে তার মেধা নিম্নগামী। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী জেএসসিতে জিপিএ ৩ পেল এসএসসিতে জিপিএ ৪ পেল এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেল এতে বোঝা যাবে তার মেধা ঊর্ধ্বগামী। কাজেই যে শিক্ষার্থী অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ৫-৬ বিষয়ে খারাপ করে এবং বার্ষিক পরীক্ষায় ২-৩ বিষয়ে খারাপ করে সে শিক্ষার্থীর মেধা ঊর্ধ্বগামী। এবং তাকে প্রোমোশন দেওয়া উচিত। আমরা শিক্ষক, আমরা শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা ভেবেই কাজ করব।
শিক্ষার্থীর ভুল ধরাই শিক্ষকের কাজ নয়। বরং শিক্ষার্থীর ঐ ভুলকে শুদ্ধ করে দেওয়াই শিক্ষকের প্রধান এবং উত্তম কাজ। এখানে বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে, যে সব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ে তাদের পাঠ্যবইগুলো পড়ার জন্য তারা আরো একটি বছর পূর্ণ সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া যেহেতু নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে সেহেতু তাদের প্রোমোশন না দিলে তারা অনিয়মিত হয়ে যায়। যা তাদের জীবনের জন্যে বিরাট ক্ষতি। কাজেই সেইদিকে শিক্ষকদের অবশ্যই নজর দিতে হবে। আরেকটি কথা হচ্ছে—বড় বড় শহরে বিশেষ করে ঢাকায় যে সব নামি দামি স্কুল আছে তারা তো ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই খুব ভালো মেধার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে থাকে। ঐ শিক্ষার্থীরা যদি বার্ষিক পরীক্ষায় খারাপ করে তাহলে তাদের ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনায় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিষয়টির প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।