বিএম কলেজ অস্থায়ী কর্মপরিষদের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিএম কলেজ সংলগ্ন বৈদ্যপাড়ার মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে ও পিঠে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সুনীল বাড়ৈ নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সুনীল বাড়ৈ বিএম কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র ও উজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা।
ক্যাম্পাস সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, ৪ বছর আগে বিএম কলেজ ছাত্র কর্ম পরিষদের পদ পাওয়ার জন্য ফয়সাল আহম্মেদ মুন্নাকে ৪লাখ টাকা দেয় সুনীল বাড়ৈ। কিন্তু বিএম কলেজ ছাত্র কর্ম পরিষদের তিন মাসের জন্য অস্থায়ী কর্ম পরিষদ গঠিত হলেও আর পদ-পদবীর মুখ দেখতে পারেনি সুনীল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয় কলেজ ক্যাম্পাসে।
এ বিরোধের জের ধরে সুনীল নগরীর যে ছাত্রাবাসে বসবাস করত সেখান থেকেও মুন্না তাকে সম্প্রতি নামিয়ে দেয়। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মুন্নার কাছে পাওনা টাকা চাইলে মুন্না ও তার সহযোগীরা সুনীলকে বেধড়ক মারধর করে। যার জের ধরে রাত পৌনে ১০টার দিকে সুনীল ও তার বেশ কয়েকজন সহযোগী ধারালো অস্ত্র সহ নগরীর বিএম কলেজ রোডস্থ বৈদ্য পাড়ার মুখে অবস্থান নেয়। এসময় মুন্না ছাত্রলীগ কর্মী রিমনের ছোট ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বিএম কলেজের দিকে আসছিল। বৈদ্য পাড়ার মুখে পৌছলে তার উপর হামলা চালায় সুনীল ও তার সহযোগীরা। মুন্নাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সুনীল বাড়ৈকে রক্ত মাখা একটি দেশীয় চাপাতি সহ আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে মুন্না’র সহযোগিরা এ ঘটনার পর বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, এ ঘটনায় সুনীল বাড়ৈ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফয়সাল আহম্মেদ মুন্নার অবস্থা আশঙ্কাজন বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ।