ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আমতলি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছেন।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি শুরুর আগে ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষ ছিল শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে ধরনা না দিয়ে নিরক্ষরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তত্কালীন ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলায় কর্মরত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ওই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর তিনি তার স্ত্রীর নামে ২০০৩ সালে স্থানীয় দাতাদের সহায়তায় গড়ে তোলেন হবিরবাড়ী আমতলি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদ্রাসা।
নিয়মিত পাঠদান, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সরকারি সকল নিয়ম পালন করে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মতোই সচল। কিন্তু বর্তমানে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা শিক্ষকদের জীবন অচল। বিগত বছরগুলোতে ভালো রেজাল্ট করলেও প্রতিষ্ঠানটির ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বা বেসরকারি উল্লেখযোগ্য অনুদান কিংবা এমপিও নামক সোনার হরিণ। প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান, একাডোমিক অনুমোদন থাকলেও বিনা বেতনে ১৪ বছর পার করেছেন ভাগ্য বিড়ম্বিত নন এমপিওভুক্ত এসব শিক্ষকগণ। বর্তমানে চরম কষ্টে ও দৈন্যদশায় দিনাতিপাত করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকগণ।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা তাজুল ইসলাম জানান, হবিরবাড়ী আমতলি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদরাসাটি বর্তমান যুগ্ন সচিব শেখ আলমগীর হোসেন ২০০৩ সালে তাঁর স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকাটিতে অনেক শিল্প-কারখানা থাকায় শিক্ষার্থীর পদভারে মুখরিত প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়াসহ শিক্ষকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।