সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে চট্টগ্রামের অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, সামরিক বাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নতুন বছরে ভর্তি, পুনঃভর্তি, এসএসসি পরীক্ষা, বিভিন্ন ক্লাসের সমাপনী পরীক্ষায় অনুপস্থিতি জরিমানা, উন্নয়ন ফি, সিটি কপোরেশন ফি, ছাড়পত্রের সময় নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত ফি আদায় হচ্ছে। এ ধরনের অতিরিক্ত ফি প্রদানে সীমিত আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে, অনেকের আবার শিক্ষা জীবনেরও ইতি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
অন্যদিকে বিগত বছরগুলোতে এসএসসিতে অতিরিক্ত ফি আদায়কারী অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ বছর দ্বিগুণ-চারগুণ পর্যন্ত অবৈধ অতিরিক্ত ফি আদায়ের মহোৎসব চলছে। এ অবস্থায় জরুরিভাবে শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) নেতারা। গত রোববার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দফতরে জেলা প্রশাসক মো. শামসুল আরেফিন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব চট্টগ্রাম নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পদক জান্নাতুল ফেরদৌস, দফতর সম্পাদক মো. শাহীন চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে ক্যাব দাবি করেছে_ অবিলম্বে ভর্তি, পুনঃভর্তি, এসএসসি ও সমাপনী পরীক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায়, উন্নয়ন ফি ও ছাড়পত্রের সময় বিপুল অঙ্ক আদায়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহ চিহ্নিত করা, তালিকা প্রকাশ, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন, শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিটি করপোরেশন, ক্যাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জড়িতদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তদারকি কমিটি গঠন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারিকৃত নীতিমালা নিয়ে মতবিনিময় করা, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরকারি নিবন্ধন, এমপিওসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা বাতিল, পরিচালনা কমিটি বাতিলসহ তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা অন্যতম।