ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্যান্টিনটি দুই দিন ধরে বন্ধ। ক্যান্টিন মালিকের অভিযোগ, ছাত্রলীগের প্রায় ২৮ জন নেতার কাছে দুই লাখ টাকা বকেয়া আছে। সেগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢাবির ক্যান্টিন।
এ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার দুপুরে হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী হাসিব তাঁর রুমে খাবার না দেয়ায় ক্যান্টিন মালিক সাহাবুদ্দীনকে মারধর করেন। পরে ঘটনার বিচারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাহাবুদ্দীন ক্যান্টিন বন্ধ করে দেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যান্টিন খাবারের মান নিয়েও হলের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ রয়েছে।
ক্যান্টিন মালিক সাহাবুদ্দীন গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিদিন তিন বেলা খাবার পাঠাতে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২৮টি কক্ষে। মাস শেষে কেউ ওই খাবারের বিল নামমাত্র পরিশোধ করেন, কেউবা করেন না। সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষকে অভিযোগ করা হয়। এরপর ৫ এপ্রিল থেকে হল প্রশাসনের নির্দেশে ওই কক্ষগুলোতে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে ৩ এপ্রিল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়া রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন থেকে হল ক্যান্টিনের খাবার সংগ্রহের পূর্বে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। কোনোভাবেই বাকিতে খাওয়া যাবে না। কক্ষে কোনো খাবার নেওয়া যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন বলেন, ‘ক্যান্টিনের খাবার যাবে না।’
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘আজ-কালের মধ্যেই ক্যান্টিন খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’