ক্রমাগত ফি বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক নাইট কোর্স, পিপিপি-হেক্যাপ, ২০ বছর মেয়াদী কৌশলপত্র প্রভৃতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকৃত চরিত্র হারিয়ে বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন।
রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল লোহানী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ড. শফিউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিলানী শুভ, সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল কবীর প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন।
সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রণীত পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন ও শিক্ষা-সংস্কৃতির ওপরে সাম্প্রদায়িক-পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী আগ্রাসনের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে রুমন বলেন, এ বছরে পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যক্রম নির্ধারণে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, বরং মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছে নতি স্বীকার করে পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক, ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক বৈষম্যমূলক নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্রমনা-প্রগতিশীল লেখকদের গুরুত্বপূর্ণ লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বইগুলোতে ছাপা, বাক্যগঠন, তথ্যবিকৃতি ও বানান ভুলসহ নিম্নমানের ছাপা ও উপকরণ পরিলক্ষিত হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত বা ওলামালীগ যে ধরনের সিলেবাস দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের চ্যাম্পিয়ন দাবিদার দল আওয়ামী লীগ সেই কাজটিই করছে।
সাম্প্রদায়িক ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রণীত পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করে ও প্রগতিশীল লেখকদের লেখা যুক্ত করে মানসম্মত ও চিত্তাকর্ষক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা, সর্বজনীন-বিজ্ঞানভিত্তিক একই ধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা, অবিলম্বে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবসে বেলা ১২টায় ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান ও সমাবেশ’ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।