বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ পাঁচজন গোয়েন্দা হেফাজতে - Dainikshiksha

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ পাঁচজন গোয়েন্দা হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক    |

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় জড়িত আরো চার সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানিয়ে সিসিটিভিতে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ‌র‌্যাব। ইতিমধ্যে ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গির কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজও হাতে রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

এ ছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সেই সঙ্গে হামলার ঘটনায় সহযোগিতাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন দুজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাসহ গ্রেপ্তার হয়েছে অন্তত ১২ জন। এদের মধ্যে সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রও রয়েছে। এদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুলশানের হলি আর্টিজানের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদারক কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এডিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পাঁচ জঙ্গি সরাসরি অংশ নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে হামলার ঘটনার পূর্বাপর আরো অনেকে গুলশান হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল বলেও আমরা নিশ্চিত হয়েছি।

‌র‌্যাব অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে গুলশানের ঘটনাসংশ্লিষ্ট একটি ভিডিও ফুটেজ আপলোড করে র‌্যাব  লিখেছে, গুলশানের হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন এক তরুণীসহ চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের পরিচয় জানা থাকলে দ্রুত র‌্যাববের যেকোনো নিকটস্থ ব্যাটালিয়ন অথবা ক্যাম্পে অবহিত করুন। মোবাইল : ০১৭৭৭৭২০০৫০।

মঙ্গলবার(১৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে র‌্যাব ফেসবুক পেইজে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ আপলোড করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল র‌্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গুলশানের ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে ‌‌র‌্যাব ঘটনাস্থলের আশপাশের সড়ক থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সন্দেহভাজন এক নারীসহ চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে, তাদের মধ্যে চারজনই সন্দেহভাজন। তারা দীর্ঘক্ষণ ওই সড়কে অবস্থান করেছিল এবং আমরা মনে করছি তারা এর সঙ্গে জড়িত। ভিডিও ফুটেজটি দেখে ওই চারজনের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।

র‌্যাববের কাছে থাকা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্যান্ট ও ফুল শার্ট পরা একজন সড়কের এপাশ থেকে ওপাশে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে। এই ব্যক্তিকে ১ নম্বর সন্দেহভাজন মনে করছে ‌র‌্যাব। ওই সময় তার হাতে একটি মোবাইলসদৃশ বস্তুও দেখা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ওই যুবকের আশপাশে একটি প্রাইভেট কার থেকে এক তরুণকে রাস্তার মাঝখানে নেমে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখা যায়।

এ ছাড়া ভিডিওতে আরো দেখা যায়, কালো রঙের শার্ট পরা স্বাস্থ্য ভালো এক তরুণ রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে। ওই সময় ফুটপাতে একটি আমগাছের নিচে পেছনের পকেটে হাত দিয়ে তাকে কিছু একটা খুঁজতে দেখা যায়। ঠিক একই সময়ে তার সঙ্গে ফুটপাতে আরো এক তরুণীকে দেখা যায়। সে হেঁটে সামনের দিকে আর্থাৎ হলি আর্টিজান বেকারির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে ভিডিও ফুটেজের সন্দেহভাজনদের চেহারা তেমন স্পষ্ট নয়। এ কারণে তাদের সম্পর্কে তথ্য পেতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে র‌্যাবকে।

এর আগে ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত সোমবার সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গিরা হেঁটে এক এক করে হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকেছিল।

‌র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হামলার পর পর গুলশান এলাকার বিভিন্ন সড়কের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭৫ ও ৭৯ নম্বর সড়কে বসানো সিসি ক্যামেরায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মেলে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ১ জুলাই রাত ৮টা ৪২ মিনিট থেকে ৯টার মধ্যে ওই দুটি সড়কে চলাচলরত চারজনের মধ্যে এক নারীও রয়েছে। বাকি তিনজন পুরুষ। এদেরকেই সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই দুটি সড়কের ভিডিও ফুটেজে সে সময়ে চলাচলকারী একটি গাড়িও চিহ্নিত করা হয়েছে।

তাদেরকে সন্দেহ করার কারণ জানতে চাইলে তদন্তসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, সন্দেহভাজনরা যখন ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল ঠিক ওই সময়ের মধ্যে গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা ঢুকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে।

ওই সময় হামলাকারী জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্য। তবে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযানে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্র বাহিনী।

ওই অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত ও একজনকে আটক করা হয় বলে ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। হামলার ঘটনায় আন্তজার্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দায় স্বীকার করলেও তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, হামলার নেতৃত্বে ছিল দেশীয় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। এ ছাড়া সমমনা অন্যান্য দেশি জঙ্গি সংগঠনও হামলায় জড়িত থাকতে পারে।

এদিকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গত ১৯ দিনের তদন্তে গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িতদের পাশাপাশি ঘটনাস্থল রেকিকারী জঙ্গিদেরও শনাক্ত করতে পেরেছে বলে দাবি করেছে। তদন্তে এখন পর্যন্ত ওই হামলার আদ্যোপান্ত জানা সম্ভব হয়েছে দাবি করে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গুলশান হামলায় জড়িতরা দেশি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

তাদের মধ্যে বেশির ভাগ উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তারা ফেসবুক, ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠিত হয়। তাদের ব্যবহার করা ফেসবুক ও যোগাযোগের অন্য মাধ্যম যাচাই করে ইতিমধ্যে আরো অনেক জঙ্গিকে শনাক্ত ও চিহ্নিত করা হয়েছে।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিবার থেকে নিরুদ্দেশ রয়েছে বলে পরিবারের ভাষ্য। এ ছাড়া গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িতদের পাশাপাশি সহযোগিতাকারী ১২ জনকে ধরা হয়েছে। তাদের মধ্যে দেশি দুটি জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের দুই জঙ্গি নেতা রয়েছে। এ ছাড়া জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষক ও শেওড়াপাড়া এলাকার এক স্কুলের সাবেক শিক্ষকসহ চারজনকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামতসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে জব্দ করা ১০৯টি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের চারটি ক্যামেরায় পাঁচ জঙ্গির গতিবিধি ধরা পড়েছে। গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় ৫৪২টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে।

শুধু গুলশানে রয়েছে ১০৯টি। সেগুলোর ফুটেজ থেকে ঘটনার রাত পৌনে ৮টা থেকে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার চিত্র পর্যালোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৩০টি মোবাইল ফোনসেটসহ বহু আলামত জব্দ করা হয়েছে। ফরেনসিক, সাইবার ও ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু বিশ্লেষণ চলছে।

সন্দেহভাজন অনেককেই এ ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সন্দেহভাজনদের মধ্যে শাওন নামের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আহত অবস্থায় আটক জাকিরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম নামের দুজন এখনো চিকিৎসাধীন। এখনো সন্দেহের শীর্ষে রয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও তাহমিদ হাসিব নামের এক যুবক। নজরদারিতে আছে বেশ কিছু ব্যক্তি।

জঙ্গি সন্দেহে শাবি ও লিডিং ইউনিভার্সিটির দুই ছাত্র আটক : আমাদের সিলেট অফিস জানিয়েছে, জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল আজিজ নামের এক শিক্ষার্থী এবং মাহমুদুল করিম নামে বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গত সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল সাদা পোশাকে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে তাদের আটক করে। তাদের ঢাকায় এনে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের মধ্যে আব্দুল আজিজ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।

আটককৃত আব্দুল আজিজ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। আর মাহমুদুল করিম লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র এবং নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে তা গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পুলিশের বরাত দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ওপরের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাক পরা সদস্যরা সন্দেহভাজন হিসেবে আজিজকে আটক করে নিয়ে যান।

আটককৃত আব্দুল আজিজের ভাই আব্দুল কাদির বলেন, আমার ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে ক্যাম্পাস থেকে। কেন নিয়ে গেছে কারণ জানানো হয়নি। আমরা জালালাবাদ ও কোতোয়ালি থানায় গিয়েও ভাইকে পাইনি। তারা কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

এদিকে একই দিন সন্ধ্যায় সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মাহমুদুল করিমকে একই টিম আটক করে। জঙ্গিতত্পরতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মাহমুদুল করিমকে আটকের বিষয়টি তিনি রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিলেটের পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা থেকে আসা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা ওই দুই তরুণকে আটক করে নিয়ে গেছেন। কেন তাদের আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জঙ্গি সন্দেহে তাদের ধরা হয়েছে।

মতিঝিলে তিন এবিটি জঙ্গি গ্রেপ্তার : গত সোমবার রাতে রাজধানীর মতিঝিল থেকে ছোরা ও জিহাদি বইসহ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটি)।

তারা হলো মোজাহের উদ্দিন ওরফে রাজিব, ইনছান আলী ও রতন মিয়া। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান বলেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার রাতে মতিঝিলের আদমজী কোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এবিটির তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি ও ওসামা বিন লাদেন বইসহ কিছু বই জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিন জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মিডিয়া শাখার দায়িত্বে ছিল বলে স্বীকার করেছে।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053811073303223