রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ বা পাড়া-মহল্লায় উঠতি কিশোরদের বিভিন্ন গ্রুপ বা গ্যাং সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং আমাদের গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে ঢালাওভাবে পুরো রাজধানী কিংবা প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এসব গ্যাং রয়েছে কথাটি ভুল। আমরা যতদূর জেনেছি, শুধু উত্তরায় এ ধরনের গ্রুপ রয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধান বা নির্মূলের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমরা অভিভাবকদের ডেকে তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারপরও পুলিশ বাহিনী এ বিষয়ে নজরদারি শুরু করেছে। কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে : র্যাব
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, যে কেউ সেটা দলবদ্ধভাবে বা গ্রুপ করে বা একা একা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট থাকলে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের অবস্থান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাড়া-মহল্লা বা উঠতি বয়সের কিশোরদের যে গ্রুপিংয়ের কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরাধীর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে : ডিএমপি
রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলোতে বিভিন্ন গ্রুপিংয়ের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা আসলে উত্তরা ছাড়া এর বাইরে তেমন কোনো গ্রুপ বা গ্যাংয়ের তথ্য এখনও পাইনি। আমরা এ বিষয়ে তদারকি বাড়িয়েছি। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও এ বিষয়ে তদন্ত করছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকলে অবশ্যই তাদের প্রচলিত আইনের আওতায় আসতে হবে।