বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ২০১৫ সালের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
একতরফাভাবে ঘোষিত এই নতুন তারিখ ঘোষণার সভায় বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারসহ আওয়ামী লীগ বা প্রগতিশীলদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে। ভোটার তালিকা হয়নি, বিগত কমিটি (ফাহিমা খাতুন) আর্থিক হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে দেননি এবং সবার মতামত নেওয়া হয়নি–এই তিন কারণে তারা বিরোধীতা করছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে নির্বাচন দেওয়ায় অন্যরকম ‘গন্ধ’ খুঁজছে ফোরাম সদস্যরা। তারা নিজ নিজ ফেসবুকে নতুন তারিখের ঘোর বিরোধীতা করছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার রাজধানীর মেহেরবা প্লাজায় সমিতির স্থায়ী কার্যালয় মেহেরবা প্লাজার শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ মার্চ সোমবার সারাদেশে একযোগে ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর আবদুস সামাদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী কার্যক্রমের অন্যান্য প্রক্রিয়া যেমন-খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল ১৬ ও ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি যথাক্রমে মঙ্গল ও বুধবার প্রতিদিন সকাল ১০ টা হতে বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, মেহেরবা প্লাজা (১৪ তলা), ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ হতে সংগ্রহ করা ও জমা দেয়া যাবে।
এছাড়া, মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪.০০ টা পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও লিখিত আপত্তি প্রদান ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ টা হতে দুপুর ১২.০০ টা পর্যন্ত, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৪.০০ টায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোট গ্রহণ চলবে ২১ মার্চ সোমবার সকাল ১০.০০ টা হতে বিকেল ৪.০০ টা পর্যন্ত। বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২৭ মার্চ রোববার।
কমিশন জানায়, কোনো পদে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে সে পদের প্রার্থীকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, সভাপতি পদের জন্য ৭০০০ টাকা, সহ-সভাপতি পদের জন্য ৬০০০ টাকা, মহাসচিব পদের জন্য ৫০০০ টাকা, যুগ্ম মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ ও সাংগঠনিক সচিবসহ অন্য সকল সচিব পদের জন্য ৪০০০ টাকা, সহ-কোষাধ্যক্ষসহ অন্য সকল সহ-সচিব পদের জন্য ৩৫০০ টাকা এবং নির্বাহী সদস্য পদের জন্য ৩০০০ টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
সূত্র জানায়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ১0 হাজার। এদের মধ্যে সারাদেশের সরকারি কলেজ, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর-অধিদপ্তরসমূহের প্রায় ৮ হাজার সদস্য এবছর ভোট প্রয়োগের জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ আগস্ট সমিতির সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে তিনটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। প্যানেল তিনটি ছিল-মাউশির বর্তমান ডিজি ফাহিমা খাতুন নেতৃত্বাধীন মাছুমে রাব্বানী ও আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার প্যানেল, সবশেষ সভাপতি প্রফেসর নাসরীন বেগম নেতৃত্বাধীন নাসরীন-সোহেল প্যানেল এবং আন্তঃব্যাচ সমর্থিত শফিক-শাহেদ প্যানেল।
ওই নির্বাচনে নাসরীন প্যানেল ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।