লাগাতার কর্মসূচির ১৩তম দিনে এসে আন্দোলনরত বেকার নার্সরা জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তির দাবি আদায়ে নতুন অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন এ অবস্থান কর্সসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
একই দিন গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে নার্সরা। এর আগেও তারা ঠিক একই ধরনের কর্মসূচি দিয়েছিল। কিন্তু তখন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিমুখে ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখী পদযাত্রায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে নার্সরা।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারুক হোসেন বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়ায় আবারো নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।’
এসময় ১৭ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় অবস্থান ধর্মঘট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দোয়েল চত্বর ও শহীদ মিনার হয়ে শাহবাগ ঘুরে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিলিত হবে।’
এছাড়া ১৯ এপ্রিল সকাল ১১টায় চলমান লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে। পদযাত্রাটি সচিবালয়ের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কর্মসূচি স্থলে এসে মিলিত হবে।
পরদিকে ২০ এপ্রিল সকাল ১১টায় লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে। পদযাত্রাটি পুনরায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কর্মসূচি স্থলে এসে শেষ হবে। বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সভাপতি রাজীব কুমার বলেন, ‘শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে চলমান লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের পাশাপাশি দাবি আদায়ের স্বপক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন হয়।
এর আগে গত ২৮ মার্চ পিএসসি ৩ হাজার ৬১৬ সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও আগের মতো জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগ দেয়ার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বেকার নার্সরা।
গত ৩০ মার্চ একই দাবিতে তারা শাহবাগ মোড়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টা অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারী নার্সদের। এতে অর্ধশতাধিক নার্স আহত হন। এরপর তারা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডিএনএসের অফিস ঘেরাও করেন। ৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন বেকার নার্সরা।