সারাদেশের প্রায় দেড় লাখ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীর এপ্রিল মাসের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নবগঠিত মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর জন্য দায়ী বলে দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেন, যুগ যুগ যাবত মাদ্রাসার বেতন-বিল তৈরি ও বিতরণ করে আসছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অ্রধিদপ্তর। কিন্তু বেতন-বিল তৈরি ও বিতরণ করার মতো লোকবল, সফটওয়ার ও অন্যান্য যোগ্যতা অর্জনের আগেই গত ২৭ ্এপ্রিল দায়িত্ব নেয় মাদ্রাসা অধিদপ্তর। যদিও তাদের দায়িত্ব নেয়ার কথা ছিলো জুলাই মাসে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বেরও ফল এটি।
মাদ্রাসা শিক্ষক নেতৃবৃন্দ দৈনিকশিক্ষাকে জানান, চলতি মাসেই রমজান শুরু হবে। বেতন-ভাতা দেরিতে হলে ভোগান্তির সীমা থাকবে না।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এমপিওভু্ক্ত সাত হাজার ৬শ ১৮াট মাদ্রাসায় কর্মরত ১ লাখ একুশ হাজার ৩৮১ শিক্ষক ও ২৬ হাজার ৮৬৪ জন কর্মচারী। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে সরকারের ব্যয় প্রায় ২৫৫ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বলছেন তারা এপ্রিলের বেতন থেকেেই কাজ করতে পারবেন। মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিতে পৃথক বেতনকোড ও বাজেট তৈরি করা হয়েছে।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: বিল্লাল হোসনে জানান, মঙ্গলবার (২রা এপ্রিল) শিক্ষা অধিদপ্তরের দুজন পরিচালক ও উপ-পরিচালকের কাছ থেকে তিনি সব বিষয় বুঝে নিয়েছেন।
তবে, অধিদপ্তরের ্ একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, এবারেও যদি আমাদের সহায়তা না নেয় তবে অনেক ভোগান্তি হবে এপ্রিলের বেতন বিতরণ করতে। মাদ্রাসার ডিজি একগুয়েমি করছেন।
তবে, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ মাদ্রাসার মহাপরিচালক।
রাজধানীর ইস্কাটনে রেড-ক্রিসেন্ট বোরাক টাওয়ারে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অবস্থান।