বেত্রাঘাতে ছাত্রের চোখ নষ্ট : শিক্ষক কারাগারে - দৈনিকশিক্ষা

বেত্রাঘাতে ছাত্রের চোখ নষ্ট : শিক্ষক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেত্রাঘাতে স্কুলছাত্রের চোখ নষ্ট হওয়ার অভিযোগে বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক মো. আরিফ বিল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আহত ছাত্র মো. মাশরাফুল আল কারীব বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

শিক্ষকের কাঁটাতারে প্যাঁচানো বেত্রাঘাতে স্কুলছাত্রের চোখ নষ্ট হওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এই নির্দেশ দেন আদালত। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইপিজেড থানায় ওসি মো. সৈয়দ আহসানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার রাতে ইপিজেড থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মাশরাফুলের বাবা বলেন, তার ছেলের বাম চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয়েছে। যার ফলে তার বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি ধিরে ধিরে হারিয়ে ফেলছে। তবে অপারেশন হলে হয়তো সে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারে, আবার তার উল্টোও হতে পারে।

এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্যসব ছাত্রের মতো আমার ছেলেও সেদিন কোচিং করতে যায়। সুস্থ ছেলে আজ বাম চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। আমি এই শিক্ষকের কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

মাশরাফুলের বাবার দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৮ম শ্রেণীর বিশেষ কোচিং ক্লাস চলাকালে একটি অঙ্ক করতে গিয়ে ভুল করে মাশরাফুল।

এতে ওই গণিত শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে চিকন কাঁটাতার প্যাঁচানো বেত দিয়ে উপর্যুপরি মাশরাফুলকে বেত্রাঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারযুক্ত বেতের আঘাতে তার বাম চোখ যখম হয়ে লাল বর্ণ ধারণ করে। ছেলেকে তার সহপাঠীরা বাসায় নিয়ে আসলে তার চোখের জখম গুরুতর মনে হলে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

পরে চমেক চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অপটোলজিতে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দেয়। এরপর মাশরাফুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য শেভরন আই এবং ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডে চিকিৎসা দেয়া হয়।

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034811496734619