বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এ মুহূর্তে সংশোধনের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতারা। তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি’র এক মতবিনিময় সভায় এ অভিমত উঠে আসে। মঙ্গলবার সোনারগাঁও হোটেলে সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিদ্যমান আইন সংশোধনে সংসদীয় কমিটিতে কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি বা এর প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ২০১০ সালে প্রণীত আইনটি কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া যথাযথ ও যুগোপযোগী বলেও মনে করেন সমিতির নেতারা। আইনের কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা দূর করার জন্য সংশোধনের প্রয়োজন হলে সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তা করতে হবে বলে জানান তারা।
সমিতির নেতারা বলেন, ইতিমধ্যে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল প্রবর্তন করেছে, যা এখনও কার্যকর নয়। একই লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করার বিষয়ে সভায় ঐকমত্য পোষণ করেন সমিতির নেতারা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কাজী নাবিল আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক, সেক্রেটারি জেনারেল বেনজীর আহমেদ, ট্রেজারার কেবিএম মইন উদ্দিন চিশ্তি, চিটাগাং ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান কাইউম রেজা চৌধুরী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফাত, এআইইউবি’র ট্রাস্টি ড. হাসানুল এ হাসান, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলাস্টিকার চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল (অব.) ফরিদ হাবিব, এক্সিম ব্যাংক এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান নুরুল ফজল বুলবুল, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি মো. সাইফুজ্জামান শিখর, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান কাজী গোলাম রহমান প্রমুখ।