২০১০-এ গৃহীত শিক্ষানীতিতে উচ্চ মাধ্যামিক স্তর বলে কিছু নেই। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যামিক স্তর এখনো বিদ্যমান। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ শতভাগ বেতন, আংশিক বাড়িভাড়া, চিকিত্সাভাতা ও উত্সবভাতা সরকার থেকে পেয়ে থাকেন। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব সিদ্ধান্ত এবং ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী-বেতন, উন্নয়ন ফিসহ নানা নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করলেও সরকার এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো অর্থ সরকারি কোষাগারে গ্রহণ করে না এবং ফি নির্ধারণে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না।
শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করে তা সুনির্দিষ্ট নিয়মের আওতায় বদলিযোগ্য করলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ত এবং ভারসাম্য তৈরি হতো। তখন অভিভাবকদের মধ্যে তথাকথিত ভালো স্কুলে/কলেজে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা হ্রাস পেত।
সরকার যেহেতু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ ব্যয় নির্বাহ করছে, তবে জাতীয়করণ করে সম্পূর্ণ ব্যয় নির্বাহে বাধা কোথায় তা বোধগম্য নয়। এটা করতে গিয়ে আর্থিকভাবে সরকারকে চাপে পড়তে হবে বলে মনে হয় না; বরং সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হবে। প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত হওয়ার উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ফলাফল অর্জন করেও শিক্ষক-কর্মচারীদের পেটে ক্ষুধা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর কাম্য শিক্ষার্থী নেই, ফলাফল নেই। অথচ সরকারের কোটি কোটি টাকা এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে ব্যয় হচ্ছে।
মো. মনিরুজজামান
প্রধানশিক্ষক, রওশন আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
বেরাইদ, বাড্ডা, ঢাকা ১২১২