আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা না দিলে অথবা এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সুষ্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া না গেলে জানুয়ারিতে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্য মো: সেলিম ভূঁইয়া।
গতকাল বগুড়া উত্তরণ হাই স্কুল মাঠে শিক-কর্মচারী ঐক্যজোটের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষা অধিদফতর, পরিদফতর, বোর্ড, আঞ্চলিক অফিসগুলোতে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। শিক্ষক প্রশিণের নামে শিা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের শত শত কোটি টাকার লুটপাট চলছে। এর সাথে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরাও জড়িত বলে অভিযোগ করেন এ শিক্ষক নেতা। অধিদফতর, পরিদফতর, বোর্ড, আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ঘুরে ঘুরে একই ব্যক্তিরা দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছেন। তারা বলে বেড়ান তারা নাকি এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে কোনো লাভ হবে না।
সরকারি দলের লোকদের দৌরাত্ম্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকেরা কাজ করতে পারছেন না এমন দাবি করে এই শিক নেতা বলেন, সরকারি দলের স্থানীয় নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছে অধ্য ও প্রধান শিকদের দায়িত্ব। পাবলিক পরীায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথেও তারা জড়িত। পরীায় নকলের মহোৎসব চলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশ একসময় মেধাশূন্য হয়ে যাবে।
বর্তমানে শিকদের কোনো সামাজিক মর্যাদা নেই দাবি করে অধ্য সেলিম ভূঁইয়া বলেন, শিকদের চাকরির নিরাপত্তা নেই। তাই বেসরকারি শিকদের চাকরি জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, দেশের শিাব্যবস্থাকে বাঁচাতে হলে, শিার মান বৃদ্ধি এবং আগামীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণের যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে হলে ২০১৭ সালের মধ্যে চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: নুরুল ইসলাম ওমর বলেন, শিকদের অভুক্ত রেখে শিার মান বৃদ্ধি করা যায় না। শিকেরা জাতি গড়ার কারিগর। তাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। এ সময় তিনি শিকদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানান।
আয়োজক সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্য মো: মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো: জাকির হোসেন, শিক নেতা অধ্য আবদুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, অধ্য সেলিম মিয়া, শামসুল হক, মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক হামিদ তালুকদার, আ: করিম, হাফিজুল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।