মনোনীতদের তালিকা এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে (www.ntrca.gov.bd) পাওয়া যাবে।
গত বছর একটি এসআরও জারি করে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির ক্ষমতা খর্ব করে সরকার।
নির্বাচিতরা আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন বলে রোববার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ । সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগপত্র দেবে। এদের যোগ দিতে আর কোনো পরীক্ষা লাগবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছ, সব ধরনের বিড়ম্বনামুক্ত ও সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এতে ভালো শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও কোনো ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন।
এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই কাজটা অনেক কঠিন জানিয়ে নাহিদ বলেন, কোনোভাবে মন্ত্রণালয় বা সরকারের বোঝার কোনো সুযোগ ছিল না, কোনো ধরনের তদবির বা স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসীকে নির্বাচিত শিক্ষকদের গ্রহণ করার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৬ হাজার ৪৭০টি প্রতিষ্ঠান ১৪ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষকের চাহিদা এনটিআরসিএ’তে পাঠায়। বিপরীতে মোট আবেদন জমা পড়ে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৭ টি। এরমধ্যে নারী ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৫ ও পুরুষ ১০ লাখ ১৫ হাজার ৭১২ জন।
এনটিআরসিএ জানায়, ৭১৮ পদে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। আর বিভিন্ন কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে ৬৮৫ জনের আবেদন। আর মামলার কারণে কম্পিউটার শিক্ষক পদে ৬২ হাজার ৪৮ আবেদনের পর ১ হাজার ৯৫টি পদ স্থগিত রাখা হয়। ২০৪টি নারী কোটা পদে কোনো আবেদন পড়েনি।
প্রতিষ্ঠান প্রধান, পরিচালনা পর্ষদ ও প্রার্থীরা টেলিটকের এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন বলে জানান এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এএমএম আজহার।
২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
টেলিটক মোবাইলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে জানায় এনটিআরসিএ।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।