বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক পদে চাকরিতে প্রবেশে প্রার্থীদের বয়সের সীমা নির্ধারণ ও পরীক্ষায় পাসের নম্বর নির্ধারণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রচলিত বিধানে বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে শিক্ষক নিয়োগের আইন ও বিধি বিধান সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা শেষে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেছেন, সভায় সবাই নীতিগতভাবে একমত যে, নিয়োগে প্রার্থীদের বয়সের একটা সীমা নির্ধারণ করা দরকার।
বয়সসীমা কত হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বলেছি ৪০ অথবা ৪৫ করা হোক। এতে সবাই সায় দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, আজকের সভায় এটা চূড়ান্ত হয়নি। আরেকটি সভা শিগগিরই বসবে। সেই সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রজ্ঞাপন জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সভায় নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস নম্বর ৬০ অথবা ৫০ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সুপারিশ ছিলো ৬০ করার। কিন্তু সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, সবক্ষেত্রে তা সম্ভন হবে না। কারণ, কোনো কোনো জেলার প্রার্থী কম, পরীক্ষায়ও কম নম্বর পায়। তাই ৬০ করা হয়তো হবে না। ৫০ হতে পারে। এ বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও অন্যান্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী সভায়।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের ১৩তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদের নমুনা কপি দেখানো হয়েছে। সনদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর উল্লেখ থাকবে।
পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।