শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের পেশাগত বঞ্চনা সামষ্টিক বিষয়। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিগণ পাননি বৈশাখী ভাতা ও বার্ষিক ০৫% প্রবৃদ্ধি সুবিধা! বেসরকারি শিক্ষকগণ বিশ্বের একমাত্র পেশাজীবী যারা ২৫% উত্সবভাতা পান। এমপিওভুক্তগণ টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, উচ্চতর বেতনস্কেলও পাবেন না।
তাদের বাড়িভাড়া ১০০০ টাকা, চিকিত্সাভাতা ৫০০ টাকা হলেও তা অপ্রতুল। তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী সুযোগ, সম্মানীর দাবি উপেক্ষিত। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পদের সবাই একই পরিমাণ বাড়িভাড়া পান। তারা বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল ও উত্সব ভাতা পান না। তারা পদোন্নতি, সেচ্ছা অবসর, বদলি সুবিধাসহ অসংখ্য বঞ্চনার শিকার।
বলা হচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষকগণকেও আয়কর দিতে হবে। তারা শুধু প্রারম্ভিক বেতনের শতভাগ সরকারিভাবে পান। তাই বেসরকারি শিক্ষকগণের বঞ্চনার অবসান না ঘটিয়েই নতুন করে আয়করের বোঝা চাপানো ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ তুল্য!
সরকারিকরণের জন্য ১৯৯টি কলেজের তালিকার ফলে নানান ক্ষোভ-হতাশায় সারাদেশে মানববন্ধন, হরতাল, সড়ক অবরোধের কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমজনতা সোচ্চার। আবার কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে নীতিমালা তৈরির অপেক্ষা, জরিপ ইত্যাদির সুযোগে দীর্ঘসূত্রতা, পক্ষপাতিত্ব ও অনিয়ম, দুর্নীতি, দুর্নামের ভয় রয়েই গেছে।
কাজেই ‘এক ঘোষণা’য় উপজেলা সদরের কলেজগুলো জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করি। কেননা, সদর বঞ্চিত থাকলে ঐ ক্ষতি ও দায় রয়েই যাবে।
পরিশেষে বলতে চাই, বিচ্ছিন্নভাবে নয় বরং ‘সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা’ জাতীয়করণই কাম্য। কেননা, অসঙ্গতিতে ভরপুর খণ্ডিত জাতীয়করণের চলমান প্রক্রিয়ায় শিক্ষকসমাজের মধ্যে বৈষম্য, হতাশা, অপমানের তিক্ত অভিজ্ঞতা বাড়তে পারে।
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ,
বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ,
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ,
কাপাসিয়া, গাজীপুর