একটি দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি সংস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু যখন সেই জনকল্যাণমূলক সংস্থাগুলো তাদের জনকল্যাণের মোড়কে দেশের সমস্যা সমাধান না করে বরং সেটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেরা ফায়দা লোটে, তখন প্রশ্ন জাগে—কী দরকার এত এনজিও-র? অনেক বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগ পরীক্ষার নামে আদায় করা হচ্ছে গলাকাটা পরীক্ষার ফি। ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা একটি দেশের জন্য অভিশাপ। একজন চাকরি-সন্ধানী যে কতটা দুর্দশার মধ্যে থাকে তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে। আর বেকার সমস্যাকে কাজে লাগিয়ে অনেক বেসরকারি সংস্থা ফায়দা লুটছে।
নিয়োগ প্রদানের নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। আবার আবেদনকারীকে বাছাইয়ের নামে বাদ দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষার ফি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ছাড়াই। একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বারবার দিয়ে হাজারো বেকারের কাছ থেকে চাওয়া হয় আবেদনপত্র ও পরীক্ষার ফি। ফলে বারবার দিতে হয় পরীক্ষার ফি। আর বাছাইয়ের নামে বাদ পড়তে হয়। যেন প্রতিষ্ঠানের আয়ের উেস পরিণত হয়েছে এ প্রক্রিয়াটি! বেসরকারি সংস্থায় চাকরির পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা আদায় বন্ধ করা উচিত। যেখানে সরকারি যে পদের জন্য পরীক্ষায় ফি নেওয়া হয় ১০০ টাকা, সেখানে বেসরকারি সংস্থা নিচ্ছে ৩০০ বা ৪০০ টাকা! পরিশেষে সরকারের কাছে আবেদন থাকবে—কোনো বেসরকারি সংস্থা নিয়োগ পরীক্ষা বাবদ যেন টাকা আদায় করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হোক।
মো. আবু তাহের মিয়া
শিক্ষার্থী, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর