নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার পারগোপালপুর গ্রামে খলিশাডাঙ্গা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্র লিখনের (০৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে নাটোর ও রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবুরি দল তাকে উদ্ধার করে।
এর আগে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খলিশাডাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় লিখন। লিখন ওই গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে। সে পারগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
নাটোর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে নাটোর ও রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর লিখনের মরদেহ উদ্ধার করে।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, লিখন গ্রামের একটি মক্তবে কোরআন শিখত। সকালে কোরআন খতম শেষে বাবার কাছে মিষ্টি খাওয়ার বায়না ধরে সে।
এসময় তার বাবা টাকা দিলে সে মিষ্টি কিনতে গড়মাটি পুরাতনহাটপাড়া বাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ওই গ্রামের খলিশাডাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়ে যায় লিখন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
খবর পেয়ে নাটোর ও রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর দুপুর ১টার দিকে লিখনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, ডুবরি দল পৌঁছার পর নদীর দুই পারে হাজার হাজার গ্রামবাসী ভিড় জমায়। এসময় তারা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে।
খবর পেয়ে বড়াইগ্রামের উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত ফারজানা, নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, বড়াইগ্রাম থানার ওসি শাহরিয়ার খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ইউএনও ইশরাত ফারজানা বলেন, বিষয়টি সত্যি দুঃখজনক। খলিশাডাঙ্গা নদীর ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।