মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চাছার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের ভিম ধ্বসে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান।
জানা গেছে, ধুরাইল ইউনিয়নের চাছার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বুধবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে ক্লাস শুরু করেন। প্রথম শিফটের ক্লাস চলে ১২টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস শুরু হয় ১২টা ১৫ মিনিট থেকে এবং ক্লাস চলে ৪ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস ছুটি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনের বিল্ডিং এর একটি ভিমের পুরো অংশটি ধ্বসে পড়ে।
এ সময় বিকট শব্দে বিদ্যালয় এলাকার আশপাশের জনগন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ধ্বসে পড়া ভিমের আস্তর দেখার জন্য শত শত এলাকাবাসী ভিড় জমায়। এ কক্ষেই প্রথম শিফটে প্রথম শ্রেণির ক্লাস ও দ্বিতীয় শিফটে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস পরিচালনা করে থাকেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। বিদ্যালয় ভবনের অন্যান্য শ্রেণি কক্ষের ভিমেও ফাটল ধরেছে।
যে কোন মুহুর্তে আস্তর ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অভিভাবক নূরুল হক খান জানান, বিদ্যালয় চলাকালীন বিল্ডিং এর ভিম ধ্বসে পড়লে আল্লাহ না করুক অন্তত পক্ষে অর্ধ শতাধিক যানমালের ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। আল্লাহই আমাদের সন্তানদের রক্ষা করেছে।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নিশি আক্তারের বাবা মো. কাশেম হাওলাদার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনটি আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিকল্প পন্থায় ক্লাস নেওয়া উচিৎ ছিল। সরকারের কাছে আবেদন একটি নতুন ভবন নির্মাণের।
চাছার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয় ভবনের ভীম ধ্বসে পড়ার সংবাদটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস না নেওয়ার কথা বলেছেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আ. রহিম মিয়া জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনে ক্লাস না নেওয়ার জন্য চাছার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানকে বলা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে বিকল্প ব্যবস্থায় ক্লাস নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে এলজিইডির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।