ভবন ছেড়ে পাড়াকেন্দ্রে পাঠদান - Dainikshiksha

ভবন ছেড়ে পাড়াকেন্দ্রে পাঠদান

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি |

পাহাড়ধসের ঝুঁকি থাকায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মায়াফাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বিদ্যালয়টি নতুন ভবনে সরিয়ে নেওয়া হবে। ভবন না থাকলেও থেমে নেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। বর্তমানে পাশের একটি পাড়াকেন্দ্রের অপরিসর কক্ষে চলছে পাঠদান।

দীঘিনালা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মায়াফাপাড়া গ্রামে এই বিদ্যালয়ের অবস্থান। সম্প্রতি সেখানে গেলে শিক্ষকেরা বলেন, গত ১২ জুলাই পাহাড়ধসের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মায়াফাপাড়া বিদ্যালয় ভবনে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ১০ দিন পাঠদান বন্ধ থাকার পর গ্রামেরই একটি পাড়াকেন্দ্রে শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। ওই কেন্দ্রের একটিমাত্র কক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

মায়াফাপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, উঁচু একটি পাহাড়ের চূড়ায় বিদ্যালয় ভবনের অবস্থান। ভবনের সামনে বারান্দা ঘেঁষেই পাহাড় ধসে পড়েছে। যেকোনো সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গ্রামের সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের পাড়াকেন্দ্রের এক কক্ষের বেড়ার ঘরে এখন পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এ কক্ষে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলছে একই সঙ্গে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সন্ধ্যা রানী দাশ বলেন, বিদ্যালয়টিতে ১০৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পাড়াকেন্দ্রে একটিমাত্র কক্ষ থাকায় শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। একসঙ্গেই পাঠদান করতে হচ্ছে সবাইকে।

শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক বলেন, পাহাড়ের ওপর বিদ্যালয় ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ছেলেমেয়েদের এখন পাড়াকেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন তাঁরা। দ্রুত বিদ্যালয়টি অন্য কোনো স্থানে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে তাঁরা মত দেন।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহিদুল ইসলাম  বলেন, মায়াফাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পাহাড়ধসের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। সে কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। গত শনিবার থেকে গ্রামের একটি পাড়াকেন্দ্রে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061390399932861