ভবিষ্যতে দুই বেলা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন: শিক্ষামন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

ভবিষ্যতে দুই বেলা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ভবিষ্যতে দিনে দুই বেলা নেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এজন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির গভর্নমেন্ট বয়েজ ল্যাবরেটরি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরির্দশনে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

পরীক্ষার সময় নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ বলেন, ভবিষ্যতে দুই বেলা পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেই প্রস্তুতি নিন। আগে পাঁচ দিনে সব পরীক্ষা নেওয়া হতো।

পাবলিক পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। গত বছর থেকে এবার এসএসসিতে ১০ দিন সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।

কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন পাবলিক পরীক্ষাগুলোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় সময় লাগে প্রায় দেড় মাস। এইচএসসিতে দুই মাস আড়াই মাস, যদিও আমরা একই তারিখে পরীক্ষা নিচ্ছি। ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল দিচ্ছি। এটার একবারও ব্যত্যয় হয়নি।

“আমাদের উন্নতি হয়েছে, আরও উন্নতমানে পৌঁছাতে হবে। যদিও মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা এখন আইসিটি এডুকেশন পেয়েছে। ছেলেমেয়েরা সৃজনশীল পদ্ধতি আয়ত্ত্বের চেষ্টা করেছে, আমরাও চেষ্টা করছি শিক্ষকদের নিয়মিত ট্রেনিং দিচ্ছি।”

তিনি বলেন, আমরা চাইছি লেখাপড়ার পদ্ধতিটা আরও সহজতর করা, সহজে উপলব্ধি করা এবং পাঠ্যপুস্তক যুগোপযোগী করে চমৎকার তৈরি করা যেনো ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারেন। এই কাজটা শুরু করেছি এবং এগোচ্ছি। এজন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করছি।

খাতা মূল্যায়নে সমতার ব্যাপারে অনেকদিন ধরে কাজ চলছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “খাতা দেখা প্রত্যেক শিক্ষকের মন-মেজাজ দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। একটা সমতাকরণ নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছি। সবাইকে সমানভাবে বিচার করে নম্বর দেওয়ার জন্য।

নাহিদ বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে তারতম্য হবেই, এটা তো এক ধরনের যন্ত্রণা। এটাকে কীভাবে আমরা সমাধানে নিয়ে আসতে পারি, নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় সেজন্য বিভিন্ন বোর্ডের সব বিষয়ের প্রায় দুই হাজার প্রধান পরীক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রশিক্ষণ অনুসারে তারা বিষয়টা আয়ত্ত্ব করেছেন এবং খাতা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তারাই আবার সবাইকে প্রশিক্ষণ দেবেন এবং সেই প্রশিক্ষণ অনুযায়ী তারা খাতা দেখবেন।

“নমুনা উত্তরগুলো লিখিতভাবে সব জায়গায় দিয়ে দেব যেন এই উত্তর দিলে এমন নম্বর দেবেন।”

পরীক্ষা কেন্দ্র দু’টি কক্ষে মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে নিয়ে প্রবেশ করেন নাহিদ। তিনি বলন, আগে দলবল নিয়ে ঢুকতাম। এখন পরিবর্তন হয়েছে, একজন দু’জন গেয়ে দেখেছি।

“ছেলেমেয়েরা সবাই বলেছে, তারা খুবই খুশি, প্রশ্ন তাদের খুবই পছন্দ হয়েছে, পরিবেশ খুবই ভাল…। আধা ঘণ্টা আগে আসতে বলেছি। বাড়তি ১৫ মিনিট সময় পাচ্ছে, তারা আরও খুশি।”

নাহিদ বলেন, প্রশ্নপত্র আউট হয় নাই, অপরাধীদের ফাঁদে পড়বেন না, এদের পেছনে ছুটবেন না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অভিভাবকদের জানান, ভুয়া প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় বুধবার রাতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কেন্দ্রে কেউ কোনো ডিভাইস আনতে পারবে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, কেন্দ্র সচিব সাধারণ ফোন নিয়ে আসবেন। নিয়মের ব্যত্যয় হলে তার ফল তিনি পাবেন। এর আগে কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0075280666351318