মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর দেখতে কৌতুহলী শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগে যায় ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। এর আগে বুধবার বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রদের জড়ো করে মুক্তিযুদ্ধের উপর বিভিন্ন দিক বর্ননা করা হয়। সকালে স্কুল শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিক্ষা বিষয়ক সমন্বয়কারী রনজিৎ কুমার ছাত্রদেরকে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার আহ্বান জানান।
তিনি ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হয়তো কিছুদিন পরে বয়সের কারনে আর বেঁচে থাকবেন না। তোমাদের উচিৎ যারা এখনো বেঁচে আছেন তাদের নিকট থেকে যুদ্ধকালীন স্মৃতি ও সঠিক ইতিহাসগুলো জেনে রাখা।
তিনি এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদেরকে এ বিষয়ক একটি রচনা প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেন। যা অভিভাবকদের নিকট থেকে শুনে লিখতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস হিসেবে আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে।
এ জন্য একটি সনদপত্র প্রদান করা হবে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর আফসার উদ্দিনের পুত্র ভালুকা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশেকউল্লা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
পরে বিদ্যালয় মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধের উপর প্রায় এক ঘন্টা স্থিতিকালের একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সংশ্লিষ্ঠরা জানান, ১৮ই জুলাই থেকে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম চলছে। সপ্তাহ খানেক মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে আগামী ২৫শে আগষ্ট পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় একদিন করে ট্যুর করছেন তারা। এ কাজে সহায়তা দিচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ষ্টাফ সার্জেন্ট (অব.) শাহাদাৎ হোসেন ও হাকিমুল ইসলাম।