আজ ১০ ডিসেম্বর রোববার শুরু হচ্ছে অভিভাবক ও ছাত্রীদের কাছে অন্যতম কাঙ্খিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজে নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারির ড্র। বেইলী রোডের মূল ক্যাম্পাসে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে www.vnsc.edu.bd) পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে মাধ্যমিক স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির বয়স নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত দেয়ায় ভর্তি সংক্রান্ত জটিলতায় পড়েছে লক্ষাধিক শিশু। আজ ওই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে সাংবাদিকদের বলছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
নিজেদের প্রতিষ্ঠানে আজকের লটারি বিষয়ে ভিকারুননিসা নূনের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার দৈনিকশিক্ষাকে বলেছেন, আমাদের লটারির প্রস্তুতি শেষ। সরকারী নীতিমালার আলোকে সুন্দর পরিবেশে লটারির জন্য সকলের সহযোগিতায় আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে লটারির ড্রসহ সকল ভর্তি কার্যক্রম আমরা সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।
তিনি জানান, প্রথম শ্রেণীর শাখাওয়ারি আসন সংখ্যা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। আগামীকাল লটারির দিন চার শাখার আসন ঘোষণা করা হবে। সেসব আসনের প্রেক্ষিতে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি শুরু বিষয়ে সভাপতি বলেন, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলের পর আসন সংখ্যা নির্ণয় করা হবে।
আসন সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে। লটারির জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলছিলেন, প্রথম শ্রেণীর ভর্তি লটারি ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে। অধ্যক্ষ লটারিসহ ভর্তির সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ২৫ অক্টোবর ভর্তি আবেদন শুরু হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুলে। অনলাইন আবেদন চলে ১ নবেম্বর পর্যন্ত। এছাড়াও বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণী আসন সংখ্যা ঘোষণা করে এ স্তরে ভর্তি শুরু হবে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধারা, ধামম-ি, আজিমপুর ও বেইলি রোড ক্যাম্পাসে প্রথম শ্রেণীর দিবা-প্রভাতি শাখায় বাংলা ও ইংলিশ ভার্সনে প্রায় এক হাজার ২০০টি শূন্য আসন রয়েছে। এসব আসনে ২০ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৯ হাজার আবেদনকারীকে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রাথমিক নির্বাচিতদের তালিকা নোটিস বোর্ডে আগেই দেয়া হয়েছে।