ভোলার লালমোহনে আলোচিত কলেজছাত্রী মাহমুদা মেহের তিথি হত্যা মামলায় ৫ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ই আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিহত তিথির ভাসুর বাবুল, লিটন, রিপন, শিপন ও জুয়েলের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে তিথির শ্বশুর আলী আজগর মিয়া ও শ্বাশুরী সাহিদা বেগমের জামিন দেন।
জামিন বাতিল হওয়ায় আসামিদের একজন আদালতের বাইরে তিথির বাবা মো: কামাল হোসেনকে হুমকি দেন বলে তিনি জানান। এর আগে তিথির স্বামী মামলার প্রধান আসামী জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুবেল আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১লা জুন) রাতে লালমোহন বাজারে ব্যবসায়ী আলী আজগর মিয়ার ছেলে রুবেলের বাসায় গভীর রাতে মৃত্যু হয় গৃহবধু মাহমুদা মেহের তিথির। তিথির বাবা ফুলবাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: কামাল উদ্দিন মাষ্টার মেয়েকে হত্যার অভিযোগে জামাতা রুবেলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর লালমোহন বাজারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাধারন মানুষসহ রাস্তায় নেমে এসে মানববন্ধন করে তিথি হত্যাকারী রুবেলের বিচার চায়। ৬ জুন রুবেল আদালতে আত্মসমর্পন করে। এর আগে তাকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। অন্য আসামীরা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আনে।
বুধবার জামিনের মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হলে ৫ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহাবুল জানান, মামলার পর তদন্ত করে গত ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
বাদী কামাল উদ্দিন মাষ্টার অভিযোগ করেন, পুলিশ মামলায় ভালো রিপোর্ট দেয়নি। তারা দায়সারাভাবে দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছি শুনেছি। এ সার্জশিটের বিরুদ্ধে ৬ আগষ্ট নারাজী দিবেন তিনি।