বাংলাদেশ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন এবং ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কিছু আশার বাণী শুনিয়েছেন। পরিষদের সভাপতি সৈয়দা দিল আশরাফীর ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
পরিষদের সভাপতি সৈয়দা আশরাফী দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘আপনারা (উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন এবং ফিন্যান্স)শিক্ষকদের নিয়োগ অথবা অন্যকিছু নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, শুধুই অর্থাভাবে আপানাদের এমপিওভুক্তিতে দেরি হচ্ছে।’
নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে জানান, ‘স্যার আমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে এমপিও দেয়া হচ্ছে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ না পেলে সবার পাওয়ার কথা, না পেলে কেউ না। কেউ যদি অন্যপথে পেয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই বাতিল হবে।’
মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কিছুক্ষণ পরে মন্ত্রণালয়েই নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনের। মহাপরিচালক নেতৃবৃন্দকে বলেছেন তাদেরকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত রয়েছে।
পরিষদ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনাদের তো এমপিও পাওয়ার কথা। আপনারা আসেন আমার অফিসে দেখা করেন।’
আশরাফী দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘যুগ্ম-সচিব রুহী রহমান তাদেরকে বলেছেন, সুনির্দিষ্টভাবে কতজন প্রভাষক এমপিওভুক্ত নন তাদের নাম-কলেজের নামসহ একটি তালিকা তৈরি করতে’।
আশরাফী উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের সকল শিক্ষককে এই মর্মে অনুরোধ করেছেন যেন সবাই যার যার নিয়োগের কপির ফটোকপি, কলেজের নাম, জেলা উপজেলা ও নিয়োগের তারিখসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
এমপিও’র দাবিতে মানববন্ধন ও লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করবেন মঙ্গলবার (২৪ মে) থেকে। আজ এ প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন তারা। ফল না নিয়ে ঘরে ফিরবেন না—এমন প্রত্যয় সবার মধ্যে।