মহাপরিচালককে গালাগালি করে ফাঁসছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা - দৈনিকশিক্ষা

মহাপরিচালককে গালাগালি করে ফাঁসছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দেয়ার অভিযোগে ফেঁসে যাচ্ছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। শিক্ষা ক্যাডারের ১৮শ ব্যাচের ওই কর্মকর্তার নাম মো: শফিকুল ইসলাম। শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদটি শিক্ষা ক্যাডারের এক নম্বর পদ।

বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইলের সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যার সহকারি অধ্যাপক। প্রতিযোগিতামূলক বি সি এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি সরকারি কলেজের প্রভাষক হিসেবে চাকরিজীবনে প্রবেশ করেছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়েও তিনি প্রতি উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণের বিরোধিতা করে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গালাগাল দিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় কেন শাস্তি হবে না তার জবাব আগামী দশ কর্মদিবসের মধ্যে শফিকুল ইসলামকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো: মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ খবর জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জাতীয়করণের বিরোধিতা করে সরকার ও শিক্ষা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, টকশো, সংবাদপত্রে নিবন্ধ লেখা, ফেসবুকে মন্তব্য লেখার দায়ে আরো অন্তত কয়েক ডজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

অধিদপ্তরের দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে শফিকুল ইসলামের ফেসবুকে করা মন্তব্যটি সরাসরি তুলে দেয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষা ক্যাডারের ওই কর্মকর্তা খুবই অকথ্য ভাষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে গালাগালি করেছেন যা পত্রিকায় প্রকাশ করা থেকে দৈনিকশিক্ষাডটকম বিরত থাকলো।

চিঠিতে বলা হয়, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত, অশোভনীয়, শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে শফিকুল ইসলামের বক্তব্য সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ধারা ৩০ এর এ বি সি ও ডি পরিপন্থী এবং শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ১৯৮৫ এর ধারা ৩(বি) এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ কারণে কেন তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে শফিকুল ইসলামকে।

এর আগেও বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা ও ফেসবুকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ আনায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ফাহানা বিলকিসকেও জবাব দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়। পরে তাকে ফরিদপুরের সরকারি ইয়াসিন কলেজে বদলি করা হয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় সরকারি কর্মচারি শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তাকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে তার অভিযোগের বিষয়ে যাবতীয় প্রমাণপত্র ও বক্তব্য দিতে বলা হয়। এ নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমে গত ২৩শে জানুয়ারি ‘জাতীয়করণ বিরোধী কর্মকাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

২৩শে জানুয়ারি জারি করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি ফারহানা বিলকিস তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে একাধিক মন্তব্য করেন। একটি হলো ‘আমলাতন্ত্র নিপাত যাক, শিক্ষা ক্যাডার মুক্তি পাক, আমার মন্ত্রণালয় আমি চালাব, আমার দেশ আমি গড়ব’ এবং আরেকটি মন্তব্য ছিল, ‘শত শত কোটি টাকার বাণিজ্যে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডার বানিয়ে শিক্ষার বারোটা বাজানো কর্মকর্তা এবং বর্তমানের নতুন করে ১৮ হাজার জনকে পরীক্ষা ছাড়া বিসিএস ক্যাডার বানানোর জন্য ৩০০ কোটি টাকা যেসব রাঘব বোয়াল পকেটে ভরেছেন, তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।’

২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা অক্টোবর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি’ ব্যানারে জাতীয়করণের বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ফারহানা বিলকিস সে কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। ‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ দাবিতে সে সময় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.010941982269287