যশোরের মনিরামপুরে মাদরাসা সুপার ও এক সহকারী শিক্ষককে অভিভাবক ও গ্রামবাসী মিলে মারপিট করেছে। এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে মনিরামপুরের বাসুদেবপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মাদরাসা সুপার হারুন-অর-রশিদ ও সহকারী শিক্ষক বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারীকে এদিন বিকেলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও শিক্ষককের ভাষ্য মতে, বাসুদেবপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসায় এখন চলছে বার্ষিক পরীক্ষা। নবম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা নেয়ার নির্ধারিত দিন ছিল ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। এতে শাহারিয়ার নামে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শাহারিয়ার ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষার দিন ধরে পরীক্ষা দিতে মাদরাসায় যায়। তখন সে জানতে পারে শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সে তার অভিভাবককে বিষয়টি জানায়।
স্থানীয় সূত্র মতে, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর বাড়ি মাদরাসার কাছাকাছি। ফলে তার অভিভাবক ও স্বজনরা খবর শুনে মাদরাসার এসে সুপারের কাছে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় গ্রামের অনেকে মাদরাসায় হাজির হন। এক পর্যায়ে সুপার হারুন-অর-রশিদ ও সহকারী শিক্ষক বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারীকে গ্রামবাসী মারপিট করে মাদরাসার রুমের মধ্যে আটকে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হারুন-অর-রশিদ ও বরেন্দ্র কৃষ্ণ অধিকারী জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী শাহারিয়ার পরীক্ষা দিতে না পারলে তার অভিভাবক ও গ্রামবাসী এসে মারপিট করে মাদরাসায় আটকে রাখেন।
মনিরামপুর থানা পুলিশের ওসি মোকাররম হোসেন জানান, শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারলে তার অভিভাবকরা মাদরাসায় গিয়ে ঝামেলা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।