প্রধানমন্ত্রীর কাছে চার সৃজনশীল মেধাবীর অনুরোধ - Dainikshiksha

প্রধানমন্ত্রীর কাছে চার সৃজনশীল মেধাবীর অনুরোধ

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, এই মহতী প্রতিযোগিতার সূচনা হয় ২০১৩ সালে। অসম্ভব সুন্দর ছিল সেই দিনটি যেদিন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, “এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের দেশে প্রথম অনুষ্ঠিত হল। কিন্তু আমরা আশাবাদী আমাদের সকল স্তরের মেধাবীরা এতে অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং নিজেদেরকে এগিয়ে নেয়ার এক বিরাট সুযোগ লাভ করবে”।

তারই সূত্র ধরে ২০১৫ সালেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। নির্বাচিত সেরা ১২ মেধাবীদের ৪ জন কলেজ শিক্ষার্থী,  ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা।

২০১৫ সালের পুরস্কার বিতরণী গত ২০১৫ সালে করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত করা হয়নি। ২০১৬ সালে ঘোষণা দেয়া হয় যে ২০১৬ এবং ২০১৫ সালের ২৪ জন সেরা মেধাবীকে একসাথে পুরস্কৃত করা হবে।

রাজশাহী বিভাগের আনিকা বুশরা, ঢাকা বিভাগের রাইদা করিম,খুলনা বিভাগের শাকিল আহমেদ এবং সিলেট বিভাগের জয়ন্ত পাল-তারা বারবারই জানিয়েছিল যেন শুধু তাদের না, নির্বাচিত সকল এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে যেন এই আয়োজন এর পরিকল্পনা করা হয়। কর্তৃপক্ষও আশ্বাস দিয়েছিল যে প্রত্যেক মেধাবীই অংশগ্রহণের এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নেবার সৌভাগ্য লাভ করবো।

কিন্তু অদৃষ্টের কি পরিহাস! আমাদের কথাই মনে রাখা হল না! পুরস্কার বিতরণীর তারিখ ঠিক করা হল ২২ মে, যেদিন প্রত্যেক বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সারাদেশে রসায়ন ২য় পত্র পরীক্ষা। আমরা প্রত্যেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। একটু ভেবে দেখেন তো, আপনার সন্তান এরকম একটা স্বীকৃতি পেয়েও যেতে পারবে না এরকম একটা অদ্ভূত সময় ঠিক করার কারণে, সে পরীক্ষা দিবে ,অথচ তার মন পড়ে থাকবে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।

২০১৫ সালের সেরা মেধাবীরা প্রায় ১৪মাস ধরে স্বপ্ন দেখেছে, এই আনন্দযজ্ঞের অংশ হবো,  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে মেধার স্বীকৃতি নিবো এবং একটা স্বপ্নসম দিন পার করবো। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। আমাদের কি অপরাধ? মেধা এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দেয়ার পরেও আমরা আমাদের স্বপ্নের দিন পাবে না কেন? কেন এই সুযোগটুকু দেয়া হবে না যা আমাদের প্রাপ্য, যা আমাদের অধিকার?

তার চেয়েও বড় কথা, যে সেরা মেধাবীদের কেন্দ্র করে এই আয়োজন, তাদের মাত্র ৪ জনের খোঁজ খবর কি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারল না? এটি খুবই দু;খজনক। যেখানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তাঁর দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন যে,বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদেরকেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেবেন, সেখানে এই ৪ জন জাতীয় মেধাবীর কতটুকু কষ্ট হতে পারে যখন তারা এই সৌভাগ্য লাভ করবে না? কেন এই ৪ জন সেরা মেধাবী নিষ্প্রাণ হবে? যাদেরকে কেন্দ্র করে এ অনুষ্ঠান, আর তারাই এর অংশ হতে পারবে না?এত বড় একটা আয়োজন যে মেধাবীদের কেন্দ্র করে, তারাই যদি এর অংশ হতে না পারে, তাহলে এ সৃজনশীলতার, অনুপ্রেরণার সার্থকতা কোথায় থাকল?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এ মেধাবীদের আদর্শ। আমাদরে স্বপ্ন, আপনার সান্নিধ্যে বড় মানুষ হয়ে গড়ে উঠবো, দেশ ও দশকে দিবো সেই ভবিষ্যত যা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন।  আমরা এতই দুঃখে ভারাক্রান্ত যে ওইদিন রসায়ন পরীক্ষা এ হতাশার কারণে খারাপ হতে  পারে। কেনই বা হবে না খারাপ? দুই লক্ষ প্রতিযোগীদের মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ পরিচয় দিয়েও কেউ যখন তার স্বীকৃতি পায়না, তা কতটা বেদনার, এটা সকলেরই বোধ হয় বোধগম্য। কিছুদিন পরেই উচ্চশিক্ষা জীবনে প্রবেশ করবো, আমাদের জীবনে এরকম আলোকিত অধ্যায় যুক্ত হবে না, এটা ভেবে তারা প্রচণ্ড মর্মাহত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা জানি আপনি অত্যন্ত ব্যস্ত। তারপরেও আপনি এই মেধাবীদের আপনার যে মূল্যবান সময়টুকু দিতে চেয়েছেন, তারাই যদি তা না পায়, তাহলে এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, তারিখের সামান্য পরিবর্তন করে আমাদেরকে আপনার আশীর্বাদ পাবার সুযোগ করে দিবেন।

হতভাগা ৪ সেরা মেধাবী

১।আনিকা বুশরা-ভাষা ও সাহিত্য

২।রাইদা করিম-বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

৩।শাকিল আহমেদ-গণিত ও কম্পিউটার

৪।জয়ন্ত পাল-বিজ্ঞান’

[ চার সেরা মেধাবীর অনুরোধ সম্বলিত চিঠিটি হুবহু প্রকাশ করা হলো।- বার্তা সম্পাদক]

 

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041940212249756