সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিয়ে তৈরি মানবসেতুর ওপর হাটার কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর চার মাসের এমপিওসহ ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা পাচ্ছেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক। তরা হলেন প্রধান শিক্ষক মো: আছালত জামান এবং শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মো: হাফিজুর রহমান।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিয়ে তৈরি মানবসেতুর ওপর হাটার কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত তাদের এমপিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২৫শে সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিও সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এমপিও কমিটির একাধিক সদস্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, চলতি বছরের মার্চের দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দাতা সদস্য মো: দিলদার হোসেন শিক্ষার্থীদের দ্বারা মানব সেতু নির্মাণ করে তার ওপর হাটেন। এ ঘটনা সে সময় দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ঢালাওভাবে প্রচার হলে বিপাকে পড়েন মানবসেতুতে হাটা দিলদারসহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আছালত জামান এবং সহকারি শিক্ষক মো: হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাদের দুজনেরই বেতন ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না বলে প্রমাণিত হয় অবশেষে প্রমাণিত হয়।
পরবর্তীতে তাদের এমপিও চালু করা হলেও মার্চ থেকে জুন মাসের বেতন ভাতা এবং ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা তাদের প্রদান করা হয় নি।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী তাদের সাময়িক স্থগিতকৃত বকেয়া বেতন এবং উৎসব ভাতা প্রদানের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ডিও লেটার প্রদান করেন ।
এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও কমিটি প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের চার মাসের বকেয়া বেতন এবং উৎসব ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।