বরিশালের মুলাদী কলেজে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় দুই প্রভাষক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাফিজ আহম্মেদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মুলাদী কলেজের অনার্স হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী শাওনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। শাওন মুলাদী লঞ্চঘাট এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের অনার্স হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী শাওন কলেজে প্রবেশ করলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিম এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাফিজ আহমেদ তার পথরোধ করে। শাওন কলেজের ছাত্র কিনা ওই দুই শিক্ষক জানতে চান। এ সময় শাওন তাদের কাছে কোনো উত্তর দিতে বাধ্য নয় বলে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। বাধা দিলে ওই দুই প্রভাষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান শাওন।
ঘটনার আধাঘণ্টা পর শাওন লাঠিসোটা হাতে ২০ থেকে ২৫ জনের দলবল নিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ক্লাসে ঢুকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিমকে বেধরক মারধর করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কলেজে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল দাবি করেন, শাওন ছাত্রলীগের কেউ নয়। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মুলাদী কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়োর হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাওনসহ ১৫-২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, শাওনসহ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।